আপিল করেছেন খালেদা জিয়া

আবদুল্লাহ আল নোমান:
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় নিম্ন আদালতের দেয়া রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিমকোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে আপিল আবেদন করেছেন বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা।
মঙ্গলবার দুপুরে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় আপিল করা হয় বলে জানিয়েছেন খালেদা জিয়ার আইনজীবী ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন।
বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে শুনানি হবে বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবীরা।
রায় হওয়ার ১১ দিন পর সোমবার রায়ের সার্টিফায়েড কপি হাতে পান বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা। এরপর রাতেই আপিলের সার্বিক প্রস্তুতির জন্য বৈঠকে বসেন বিএনপিপন্থী সিনিয়র আইনজীবীরা।
আপিলের প্রস্তুতি নিতে সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির ভবনেও মঙ্গলবার সকালে বৈঠক করেন আইনজীবীরা। বৈঠকে আজকেই আপিল করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
এর আগে সোমবার রাতে সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট এ জে মোহাম্মদ আলীর ধানমণ্ডির বাসায় এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। খালেদা জিয়ার আইনজীবী অ্যাডভোকেট জাকির হোসেন ভূঁইয়া এই তথ্য জানিয়েছেন।
সোমবার বিকেল ৪টা ২০ মিনিটে ঢাকার পঞ্চম বিশেষ জজ আদালতের পেশকার মো. মোকাররম হোসেন খালেদা জিয়ার আইনজীবী অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়ার হাতে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার রায়ের সত্যায়িত কপি বুঝিয়ে দেন।
এসময় আদালতের পেশকার মো. মোকাররম হোসেন জানান, ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার রায় ঘোষণা করেন ঢাকার পঞ্চম বিশেষ জজ আদালতের বিচারক ড. আখতারুজ্জামান। রায়টি ছিল ৬৩২ পৃষ্ঠার। আজ রায়ের এক হাজার ১৭৪ পৃষ্ঠা সত্যায়িত কপি খালেদা জিয়ার আইনজীবীদের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
প্রসঙ্গত, গত ৮ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার দুপুরে পুরান ঢাকার বকশীবাজারে স্থাপিত বিশেষ জজ আদালতের বিচারক ড. আখতারুজ্জামান জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় রায় ঘোষণা করেন। রায়ে বিএনপির চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছর এবং সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান, মাগুরার সাবেক এমপি কাজী সলিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমানকে ১০ বছর করে কারাদণ্ডাদেশ এবং দুই কোটি ১০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। সাজা ঘোষণার পর খালেদা জিয়াকে নাজিমুদ্দিন রোডের পুরোনো কেন্দ্রীয় কারাগারে রাখা হয়।