পিরোজপুরে পুলিশের তাড়া খেয়ে বিএনপি নেতার মৃত্যু

হযরত আলী হিরু, পিরোজপুর প্রতিনিধি
পুলিশের তাড়া খেয়ে পালাতে গিয়ে পিরোজপুরে জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক আসাদুজ্জামান বাবরের (৩৫) মৃত্যুর অভিযোগ পাওয়া গেছে। শনিবার রাতে শহরের শেখ পাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। বাবর পিরোজপুর পৌরসভার উত্তর নামাজপুর গ্রামের মৃত আনছার উদ্দিন হাওলাদারের ছেলে । তিনি ২০১৪ সালের পিরোজপুর সদর উপজেলা নির্বাচনে বিএনপি সমর্থিত ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ছিলেন। স্থানীয় লোকজন ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, পুলিশ পিরোজপুর শহরের শেখপাড়া ও মধ্যরাস্তা এলাকায় বিএনপি নেতা-কর্মীদের গ্রেফতার করতে কয়েক দিন ধরে অভিযান চালায়। এরই ধারাবাহিকতায় শনিবার রাত ৯টার দিকে পিরোজপুর সদর থানার এক দল পুলিশ শেখপাড়া এলাকার জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক আসাদুজ্জামান বাবরের বাড়িতে যান। এ সময় বাবর বাড়ির সামনে ছিলেন পুলিশ তাকে আটক করতে গেলে ভয়ে দৌড় দিয়ে পালানোর চেষ্টাকালে বাড়ির পিছনের একটি গাছের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে পুকুরে পড়ে যায় বাবর। পরিবারের লোকজন অচেতন অবস্থায় বাবরকে উদ্ধার করে পিরোজপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পিরোজপর সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ ইশতিয়াক আহমেদ বলেন রাত ১০ টার দিকে বাবরকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। বাবরের মামা নেছারউদ্দিন শেখ অভিযোগ করেন, কোন কারন বা গ্রেফতারি পরোয়ানা ছাড়া পুলিশ অহেতুক বাবরকে তাড়া করে। এতে সে গাছের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে পানিতে পড়ে তার মৃত্যু হয়। অসুস্থ হয়ে পিরোজপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি বাবরের স্ত্রী ডালিয়া অভিযোগ করেন, পুলিশ তার বাড়িতে ঢুকে তার সাথে খারাপ আচরণ করেছে। পিরোজপুর জেলা বিএনপির সভাপতি গাজী নূরুামান বাবুল ও সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেন এ মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ ও পুলিশী আচরণে তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ জানিয়ে বলেন, বিএনপির নেতা-কর্মীরা পিরোজপুরে কোন আইন-শৃংখলা বিরোধী কোন কাজ করেনি। তারপরেও পুলিশ বিএনপির নেতা-কর্মীদের হয়রানি করছে। পিরোজপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম জিয়াউল হক বাবরের মৃত্যুর সাথে পুলিশের সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, শনিবার রাতে শহরে পুলিশের কোন অভিযান ছিল না।