ভান্ডারিয়ায় যুবককে হত্যা

হযরত আলী হিরু, পিরোজপুর প্রতিনিধি
পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলার ভিটাবাড়িয়া ইউনিয়নের উত্তর ভিটাবাড়িয়া এলাকায় চাকু মেরে সমিত্র সাধক (২৫) নামে এক যুবককে হত্যা করা হয়েছে। নিহত সমিত্র সাধকের বাবার নাম মনোরঞ্জন সাধক। শনিবার রাত পৌনে ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। ভান্ডারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ শাহাবুদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ভিটাবাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান এনামুল করিম পান্না জানান, সমিত্র সাধক তার বাড়ির ৯নং ওয়ার্ডের উত্তর শিয়ালকাঠী এলাকার গুচ্ছ গ্রামের কাছে শনিবার রাতে আড্ডা শেষে বাড়ি ফিরছিলেন। এ সময় একটি বাগানের কাছে সন্ত্রাসীরা তার বুকে চাকু মারে। এ সময় সমিত্র চিৎকার দিয়ে জীবন বাঁচাতে দৌড়ে রিকসা চালক সজল বেপারীর ঘড়ে ওঠে। সজল বেপারী জানান, ঘটনার সময় আমি ভাত খেতে ছিলাম। সমিত্রর এ অবস্থা দেখে আমি ডাক চিৎকার দেই। তখন আমার প্রতিবেশীরা এগিয়ে এসে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। ভান্ডারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প. কর্মকর্তা ডঃ জহিরুল হক জানান, সমিত্রকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছে। তার বুকের বাম পাশে গুপ্তি অথবা চাকু দিয়ে আঘাত করা হয়েছে। আঘাত মারাত্বক হওয়ায় তার মৃত্যু হয়েছে। ওসি জানান,খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। এরপর তিনি বলেন, এ ঘটনার রহস্য উদঘাটন ও এর সাথে জড়িতদের আটকের চেষ্টা চলছে। রোববার দুপুরে লাশের ময়না তদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। নিহত সমিত্রর ভাই মেঘনাথ সাধক জানান, তার ভাই পিরোজপুর সদর উপজেলার হুলারহাট এলাকায় একটি ইটভাটায় শ্রমিকের কাজ করতো। শুক্রবার সে বাড়িতে এসেছিল। ভিটাবাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান এনামুল করিম পান্না, ও স্থানীয় ইউপি সদস্য আঃ জলিল সিকদার জানান, সমিত্র সাধক মাদক মামলায় হাজত খেটে মাস দেড়েক আগে ছাড়া পায়। ভান্ডারিয়া থানা ওসি জানান রোববার বিকেলে এ বিষয়ে মামলা হবে।