গৌরনদীতে চাঁদা তুলতে বাঁধা দেয়ায় দুই ব্যবসায়ীর ওপর হামলা পৌর কাউন্সিলরসহ ১৬ জনের নামে মামলা

গৌরনদী প্রতিনিধি
চাঁদা তুলতে বাঁধা দেয়ায় দুই ব্যবসায়ীর ওপর হামলার অভিযোগে গতকাল শুক্রবার সকালে বরিশালের গৌরনদী পৌরসভার ২নং ওয়াডের্র কাউন্সিলর ও যুবলীগ নেতা খাইরুল খান ও তার দুই সহোদরসহ মোট ১৬ জনের নামে গতকাল শুক্রবার দুপুরে গৌরনদী মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। তাদের হামলায় আহত ব্যবসায়ী মোঃ আলাউদ্দিন খান বাদি হয়ে গতকাল শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মামলাটি দায়ের করেন।
আহত ব্যাবসায়ীদের অভিযোগ, মামলার এজাহার ও গৌরনদী থানা সূত্রে জানাগেছে, উপজেলার টরকী বন্দর এলাকার বাসিন্ধ্যা সাহানাজ সরদার (৪৫) ও তার ছেলে ইউসুব সরদার (২০) মিলে বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টার দিকে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সামনের পালরদী নদীর ট্রলার ঘাটে বসে পণ্যবাহী ট্রলার মালিকদের কাছ থেকে জোরপূর্বক চাঁদা আদায় করছিল।
এ সময় ব্যাবসায়ী আলাউদ্দিন খান চাঁদা তুলতে তাদের বাধা প্রদান করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তারা স্থানীয় পৌর কাউন্সিলর খাইরুল খানকে খবর দেয়। খবর পেয়ে কাউন্সিলর খাইরুল খান তার দুই সহোদর ইমরাত খান ও ইমরুল খানসহ বেশ কয়েকজন সহযোগী নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ব্যবসায়ী আলাউদ্দিন খানের সাথে বাক-বিতন্ডায় লিপ্ত হন। এক পর্যায়ে তারা ব্যবসায়ী আলাউদ্দিন খানকে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। এ সময় তারা ব্যবসায়ী ব্যবসায়ী আলাউদ্দিন খানের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালামাল তছনছ করে।
খবর পেয়ে গৌরনদী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ আফজাল হোসেন একদল ফোর্সসহ ওইদিন বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ঘটনাস্থলে পৌছেন। তিনি ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও ব্যবসায়ী আলাউদ্দিন খানের ফুপাতোভাই টরকী বন্দরের পান ব্যবসায়ী মোঃ আসাদুল্লাহ সরদারের কাছ থেকে ঘটনার স্বাক্ষ্য নিচ্ছিলেন। এ সময় কাউন্সিলর খাইরুল খান ও তার সহযোগীরা পুলিশের উপস্থিতিতে আসাদুল্লাহর ওপর হামলা চালিয়ে তার ২টি দাঁত ভেঙে ফেলে।
স্থানীয় ব্যবসায়ীদের সূত্রে জানাগেছে, গত কয়েক বছর পূর্বে ঘোষণা দিয়ে গৌরনদী পৌর কর্তৃপক্ষ টরকী বন্দর ট্রলার ঘাটের টোল আদায় বন্ধ করে দেন। পৌর কর্তৃপক্ষের এ সিদ্ধান্ত মানছেন না পৌর কাউন্সিলর খাইরুল খান। তার নির্দেশে বন্দর এলাকার কয়েকজন ব্যক্তি দীর্ঘদিন ধরে পন্যবাহী ট্রলার থেকে চাঁদা আদায় করে আসছে।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে গৌরনদী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ আফজাল হোসেন জানান, এ ঘটনায় ব্যবসায়ী মোঃ আলাউদ্দিন খান বাদি হয়ে গতকাল শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে কাউন্সিলর খাইরুল খান তার দুই সহোদর ইমরাত খান ও ইমরুল খানসহ ১১ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতনামা আরও ৪/৫ জনকে আসামী করে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। তবে পুলিশ এখনও কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। আসামীদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যহত রয়েছে।