নিতুড়িয়া ভারত হঠাৎ মাটি ফুঁড়ে ১০০ ফুট উঁচু ফোয়ারা

শান্ত পথিক
পুরুলিয়ার নিতুড়িয়ার খনি এলাকা মাটি থেকে জলের ফোয়ারা ওঠার চাঞ্চল্য ছড়াল। গত কয়েক দিন ধরেই এলাকায় প্রবল বর্ষণ চলছে। এরপর ডিভিসি থেকে জল ছাড়ার পর দামোদরে জলের পরিমাণ বেড়েছে। বুধবার আচমকা নিতুড়িয়ার মুরুলিয়া এলাকায় মাটি ফুঁড়ে ১০০ ফুটের মতো উঁচু জলের ফোয়ারা তৈরি হয়। গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন, বুধবার প্রথম এই ধরণের ফোয়ারা তারা দেখতে পান। মাটির তল আওয়াজ করে অন্তত একশ ফুট উঁচু ফোয়ারার মতো জল বেরিয়ে আসতে থাকে ভূগর্ভ থেকে। বুধবার বেশ কিছুক্ষণ ওই ফোয়ারা দেখা গেলেও বৃষ্টি কমে যাওয়ার পর আর দেখা যায়নি তেমন কিছু।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গিয়েছে, মুরুলিয়া এলাকায় রয়েছে বহু পরিত্যক্ত কয়লা খনি। কয়লার স্তর কতটা রয়েছে তার জন্য মাঝেমাঝেই বোরিং করে ইসিএল। এরকম একটি বোরিংয়ের গর্ত থেকেই জল ফোয়ারার মত বের হতে থাকে। এই ধরণের ঘটনা অলৌকিক কিছু নয়, এবং এতে আতঙ্কেরও কিছু নেই জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁরা বলেন, খনির নিচে অনেক সময়েই জমা হয় মিথেন গ্যাস। প্রবল বর্ষণে খনির ভেতরে জল জমে যায়। এর ফলে গ্যাসের উপর চাপ তৈরি হয়। তখন আলগা থাকা বোরিংয়ের মুখের ঢাকনা খুলে প্রচণ্ড চাপে থাকা জল ফোয়ারার মত বেরিয়ে আসতে শুরু করে। গ্যাসের চাপ কমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ফোয়ারার আকারও কমতে শুরু করে।
এদিকে ডিভিসি থেকে সমানে পাঞ্চেত জলাধার থেকে জল ছাড়ার ঘটনায় চূড়ান্ত সমস্যায় পড়েছে দামোদর লাগোয়া গ্রামগুলির মানুষ। বহু গ্রামের মধ্যে ঢুকে গেছে নদীর জল। রঘুনাথপুর ২ ব্লকের করগালির পাথরাটাড় গ্রামে বুধবার রাত থেকেই জল ঢুকতে শুরু করে। সকালে জলের পরিমাণ বেড়ে গেলে গ্রামে আশিটি পরিবার তাদের ঘর ছাড়তে বাধ্য হয়। তাদের আপাতত চেলিয়ামা বালিকা বিদ্যালয়ে রাখা হয়েছে। প্রশাসনের তরফে খোঁজ খবর শুরু হয়েছে। জেলা শাসক অলকেশ প্রসাদ রায় জানিয়েছেন, পর্যাপ্ত ত্রান রয়েছে প্রশাসনের কাছে। কারও কোন সমস্যা হতে দেওয়া হবে না।