জেরুজালেমকে নিয়ে অবৈধ ইসরায়েল ও তার দোসরদের চক্রান্ত রুখে দিতে হবে -নেছারাবাদী হুজুর

স্টাফ রিপোর্টার //
প্রায় ৭০বছর আগে আমেরিকা, বৃটেন ও তাদের কতিপয় দোসর রাশিয়ার ইহুদীপুত্র স্ট্যালিনের প্রত্যক্ষ মদদে স্বাধীন ফিলিস্তীনের ভূখন্ড জবরদখল করে জন্ম দিয়েছিল একটি অবৈধ ইহুদী রাষ্ট্র ইসরায়েল। রাষ্ট্রটির জন্মের পর থেকে ফিলিস্তীনীরা যেমন অব্যাহত হত্যা-নিগ্রহ-নির্যাতনে নিজভূমে পরবাসী ও উদ্বাস্তুতে পরিণত হয়েছে, তেমনি মধ্যপ্রাচ্যসহ গোটা মুসলিম মিল্লাতের মধ্যে অনৈক্য ও তাদের সম্পদ লুটে নিতে এই অবৈধ রাষ্ট্রটিকে সাম্রাজ্যবাদীরা সততই অস্ত্র ও সম্পদের আখড়ায় পরিণত করেছে। ফলে সমগ্র বিশ্ব আজ অস্থিতিশীল ও চরম বিশৃঙ্খল হয়ে উঠছে। সম্প্রতি (৬ই ডিসেম্বর ২০১৭) বিশ্বের সকল শান্তিকামী মানুষকে হতবাক করে দিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্টের জেরুসালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী ঘোষণা এবং ফিলিস্তীনীদের প্রতি সৌদী প্রিন্সের জেরুসালেম ছাড়ার আহ্বান এ সংঘাতকে আরো বাড়িয়ে দিয়েছে।’গত ১৩ই ডিসেম্বর ২০১৭, রোজ মঙ্গলবার যশোরের বেনাপোল পৌর মুছলিহীন কর্তৃক আয়োজিত ইহুদী আগ্রাসন ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট কর্তৃক জেরুসালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী ঘোষণার প্রতিবাদে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির ভাষণে হযরত কায়েদ ছাহেব হুজুর র. এর একমাত্র ছাহেবজাদা আমীরুল মুছলিহীন হযরত মাওলানা মুহম্মদ খলীলুর রহমান নেছারাবাদী হুজুর এ কথা বলেন।নেছারাবাদী হুজুর বলেন ইসরায়েল যেমন অবৈধ দখলদার রাষ্ট্র, এর রাজধানী ঘোষণা তার চেয়েও অবৈধ! বিশ্ববাসি ও জাতিসংঙ্ঘের প্রতিবাদ সত্ত্বেও মুসলিম বিদ্বেষী এ মার্কিনী চক্রান্ত বাস্তবায়নে সৌদীসহ যারাই এর পক্ষপাতিত্ব করছে নিঃসন্দেহে তারা মানবতার দুশমন। পবিত্র জেরুসালেম নগরী ঐতিহাসিকভাবেই সকল ধর্মের মানুষের পবিত্র স্থান এবং মুসলমানদের প্রথম কেবলা। সুতরাং ঐতিহাসিক এ নগরকে ইহুদীদের হাতে সমর্পণ করার মতো ধৃষ্টতা দেখালে তা কঠিন বিপর্যয় নিয়ে আসবে। অতএব, বিশ্বের সকল শান্তিকামী বিবেকবান মানুষদেরকে সঙ্গে নিয়ে অবৈধ ইসরায়েল ও তার দোসরদের সমুদয় চক্রান্ত রুখে দিতে হবে।’