গৌরনদীতে নানান আয়োজনের মধ্যে দিয়ে পার্বত্য শান্তিচুক্তির ২০ তম দিবস পালিত!

সাইফুর রহমান শাকিল।
বরিশালের গৌরনদীতে নানা কর্মসূচীর মধ্যে দিয়ে পালিত হয়েছে পার্বত্য শান্তি চুক্তির ২০ তম দিবস। দিবসটি উপলক্ষে আলোচনা সভা, সমাবেশ ও শোভাযাত্রার আয়োজন করেছে আওয়ামীলীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
শনিবার বেলা ১০ টায় গৌরনদী বাসস্ট্যান্ড ছাত্রলীগ কার্যালয় এর সম্মুখে দিবসটি উপলক্ষে গৌরনদী উপজেলা আওয়ামীলীগ এবং পৌর আওয়ামীলীগ এর আয়োজনে এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।সমাবেশে স্থানীয় আওয়ামীলীগ যুবলীগ এবং ছাত্রলীগের হাজারো নেতাকর্মীর সমাগম ঘটে।
উপজেলা আওয়ামীলীগ এর সভাপতি জয়নাল আবেদীন হাওলাদার এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন গৌরনদী উপজেলা আওয়ামীলীগ এর সাধারণ সম্পাদক,পৌরমেয়র হারিছুর রহমান ও পৌর আওয়ামীলীগ এর সভাপতি মনির হোসেন মিয়া।
এ সময় হারিছুর রহমান তার বক্তব্যে বলেন,আমাদের নেতা আলহাজ্ব আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহর এ অর্জন শুধু আমাদের একার নয়,এ অর্জনের সারা বাঙ্গালীর।শান্তিচূক্তির এ অর্জনের মধ্য দিয়ে বাংলার ইতিহাসে নতুন এক অধ্যায় সূচিত হয়েছে।এমন মহান নেতার নিজ এলাকায় জন্মগ্রহণ করে এবং তার সান্নিধ্য পেয়ে আমরা সকলেই গর্বিত।
আলোচনা সভা ও সমাবেশ শেষে পার্বত্য শান্তি চুক্তির প্রণেতা স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবং বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাবেক চিফ হুইপ আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ এমপিকে শুভেচ্ছা জানিয়ে উপস্থিত নেতা কর্মীরা এক বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করেন।শোভাযাত্রাটি গৌরনদী বাসস্ট্যান্ড এর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে গৌরনদী বন্দর সংলগ্ন আওয়ামীলীগ এর শাখা অফিসের সম্মুখে গিয়ে সমাপ্ত হয়।
উল্লেখ্য,তৎকালীন সময়ে অশান্ত পার্বত্য চট্টগ্রামে বাঙালী ও অাদিবাসীদের সাথে রক্তক্ষয়ী সংঘাত চলতো। দীর্ঘ ২২ বছরের এ সংঘাতে প্রান হারিয়েছেন প্রায় সাড়ে সাত হাজার মানুষ। যার ভেতরে অর্ধশতাধিকই ছিলেম সামরিক বাহিনীর সদস্য। তখন বাংলাদেশ সরকারের উদ্যোগে বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে তৎকালীন বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের চীপ হুইফ আলহাজ্ব আবুল হাসনাত আব্দুল্লাহ এমপি এবং শান্তি বাহিনীর পক্ষে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির নেতা সন্তু লারমা এক শান্তি চুক্তির চুক্তিপত্রে সাক্ষর করেন। যার ফলাফল স্বরুপ পাহাড়ি অঞ্চলের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের সমাপ্তি ঘটে এবং এক নতুন ইতিহাসের অভ্যুদয় ঘটে।