ডাকাতের হামলায় তিন জন আহত আটক এক

কমলগঞ্জ মৌলভীবাজার সংবাদদাতা
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের আলীনগর ইউনিয়নে গভীর রাতে ডাকাতদের সাথে মুখামুখি সংঘর্ষে ডাকাত দলের দা ও লোহার রডের হামলায় অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্যসহ তিন ভাই গুরুতরভাবে আহত হয়। পরে গ্রামবাসীর হাল্লা চিৎকারে ডাকাতরা পালিয়ে গেলেও এক ডাকাতকে আটক করা হয়েছে। আহত তিন ভাই ও গুরুতরভাবে আহত ধৃত ডাকাতকে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিক্যাল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গতকাল সোমবার (২৭ নভেম্বর) দিবাগত রাত আড়াইটায় আলীনগর ইউনিয়নের মঙ্গলপুর গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, গভীর রাতে মুখোশপরা ৬/৭ জনের একটি ডাকাত দল অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য শামীম আহমদ (৫২) বাড়ির ঘরে প্রবেশ করে। ঘরের ভিতর ডাকাত দলের প্রবেশ টের পেয়ে অব: সেনা সদস্য শামীম তার ভাইদেরকে ডাকতে শুরু করে ডাকাতদের আটকানোর চেষ্টা করেন। এসময় ডাকাত দলের হাতে থাকা দা ও লোহার রড দিয়ে আঘাত করলে অব: সেনা সদস্য শামীম আহমদ, ছোট ভাই শাহীন আহমদ (৪৮) ও ওয়াহিদ আহমদ (৩৫) আহত হয়েছেন। ডাকাত বলে চিৎকার দিলে গ্রামবাসীরা ছুটে আসলে এক ডাকাতকে ফেলে বাকীরা পালিয়ে যায়।
ঘটনার খবর পেয়ে কমলগঞ্জ থানার ওসি মো: বদরুল হাসানের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করে আহত বাড়ির লোকজন হাসপাতালে প্রেরণ করেন। সাথে পুলিশি পাহারায় ধৃত আহত ডাকাতকেও সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজে প্রেরণ করেন। এব্যাপারে আলীনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফজলুল হক(বাদশাহ) বলেন, ধৃত ডাকাতের পরিচয় পাওয়া যায়নি। তবে ধারণা করা হচ্ছে তার বাড়ি আদমপুর ইউনিয়নের কাঁঠালকান্দি এলাকায়। সে স্থানীয় কোন ডাকাতের সাথে যোগাযোগ করেই এখানে ডাকাতি করতে এসেছিল বলে ধারনা করা যাচ্ছে।
কমলগঞ্জ থানার ওসি মো: বদরুল হাসান বলেন, ডাকাতের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ডাকাত দল কোন ডাকাতি করতে পারে নাই। তিনি আরও বলেন, ডাকাত দলের সাথে ধস্তাধস্তির সময় অব: সেনা সদস্যসহ তিনজন আহত হয়েছেন। আহতদেরকে চিকিৎসার জন্য মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আটক আহত ডাকাতকে পুলিশি পাহারায় চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। চিকিৎসা শেষে তার নাম পরিচয় জেনে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।