সম্পাদকীয় ফিরে চলো মাটির টানে

আমাদের চারপাশে যে প্রকৃতি,যে পরিবেশ আর যে প্রতিবেশ তার মায়ায় আমরা বেড়ে উঠি। প্রকৃতির সন্তান মানুষ। নগর সভ্যতার অনিবার্জ বিকাশের সঙ্গে প্রকৃতিকে দুরে ঠেলে,আচার,আচরণ,আহার-বিহার,বসন-ব্যাসনে কৃত্রিমতাকে নির্ভর করতে শুরু করে মানব সম্প্রদায়। আর এ সবের ফলে মানব ও প্রকৃতির স্বাভাবিক আত্মীয়তা বিনষ্ট হয়।রোগ শোক আর জরাজির্নতা মানব জীবনকে করে তোলে বিপর্যস্ত। বিজ্ঞানের উৎকর্ষতার এই চরম বিকাশের যুগে তাই মানুষ আবার বোধ করে Ñপ্রকৃতির কাছে ফিরে যাওয়াটা হবে মানুষ,মানব সভ্যতা,মানব স্বাস্থ্য রক্ষার উৎকৃষ্ট উপায়।
প্রকৃতির নিরাপদ আশ্রয়ে মানুষ এবং প্রানী জগতের স্বাভাবিক বিকাশ এবং পরিনতিÑমানব সভ্যতাকে সামনে এগিয়ে নিচ্ছিল। কিন্তু মানুসের অতিভোগ স্পৃহা এবং অপ্রয়োজনীয় বিলাস সেই স্বাভাবিক যাত্রাকে ব্যাহত করে। প্রকৃতির স্বাভাবিক নিয়মের ব্যত্যয় ঘটায়। প্রকৃতির সম্পদ প্রয়োজনীয় ব্যাবহারের বদলে লুন্ঠিত হয় ভোগ চাহিদা পুরণে। এই ভোগ চাহিদা পুরণের প্রয়োজনে প্রকৃতিকে লুন্ঠনের অপপ্রায়াসে অনুষঙ্গি হয় রাসায়নিক সার ও কবীশাক্ত কীটনাশকসহ নানা উপযোগ। প্রকৃতি এসবের অত্যাচারে হয়ে পরে বিপর্যস্ত। মানবের আশ্যর প্রকৃতি যখন বিপর্যস্ত হয়,তখন আশ্যিত মানুষের অবস্থাও হয়ে পরে নাজুক নাজেহাল ও বিপর্যয়কর। নানা রোগ,শোক,সন্তাপ মানুষকে করে তোলে প্রকৃতির বন্ধনহীন উন্মুল প্রান প্রজাতি।
পৃতিবীর এই বিপর্যয় সময়ে দুনিয়াব্যাপী আবার প্রকৃতির কাছে ফিরে যাবার তাগিদ বোধ করে মানবসমাজ। ভোগের বিপরীতে পেতে চায় নিরাপদ,সুস্থ এবং স্বাভাবিক জীবন। সেই তাগিদ থেকে পুনর্বার মানূষ ফিরে তাকায়Ñমাটি,বৃক্ষ এবং প্রকৃতির প্রান-সম্পদের দিকে। এই তাকানোতে মানুষের নজরে পড়ে মানুষ নিজেই ইতিমধ্যে প্রকৃতির বিপুল ক্ষয় ও ক্ষতি করে ফেলেছে। এই ক্ষয় ও ক্ষতি পূরনে সামগ্রীকভাবে মানুষ উদ্যোগী হয়েছে । এই উদ্যোগের অংশ হিসেবে আমাদের এ প্রয়াস কৃষককথা। প্রকৃতির সম্পদ উদ্ধারে,সুস্থ্যতা অর্জনে প্রকৃতির সম্পদ সঠিক ব্যাবহারে এবং মানব জীবনকে প্রকৃতির অনুগামী তথা স্বাভাবিকতায় ফিরিয়ে আনতে এ উদ্যোগ পাঠকের,মানুষের কাজে আসলেই আমরা কৃতার্থ হবো। আসুন আমরা সবাই কৃত্রিমতার বন্ধন ছিন্ন করে ফিরে যাইÑযা কিছূ স্বাভাবিক,যা কিছূ প্রকৃতিরÑতার কাছে। সমস্বরে বলিÑ ফিরে চলো মাটির টানে।