সিলেট-আখাউড়া আন্তনগর ট্রেনের টিকেট সংকট ভোগান্তিতে যাত্রীরা

মৌলভীবাজার প্রতিনিধি
সিলেট-আখাউড়া রেলপথে ঢাকা ও চট্রগ্রাম অভিমুখী সকল আন্তনগর ট্রেনে টানা চার দিনের টিকেট সংকট দেখা দিয়েছে। ঢাকা ও চট্রগ্রাম অভিমুখী দূর পাল্লার স্টেশনের আগাম টিকেট চেয়ে না পেয়ে সাধারন যাত্রীরা চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন। সাপ্তাহিক ছুটি ও বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ব বিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় এ সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে বলে রেলওয়ে স্টেশনের কর্তৃপক্ষরা জানান আগেই যাত্রীরা এসব ট্রেনের টিকেট কিনে নিয়েছেন। গত বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর), শুক্রবার (১৭ নভেম্বর), শনিবার (১৮ নভেম্বর) ও রবিবার (১৯ নভেম্বর)পর্যন্ত সিলেট থেকে ঢাকা অভিমুখী দিনের বেলার আন্তনগর কালনী এক্সপ্রেস, জয়ন্তিকা এক্সপ্রেস ও পারাবত এক্সপ্রেসের টিকেট না পাওয়ায় সাধারন ট্রেন যাত্রীরা পড়তে হচ্ছে বিপাকে।
জানা যায়, ঢাকা অভিমুখী আন্তনগর উপবন এক্সপ্রেস ট্রেনেরও কোন আসন খালি নেই। ঢাকা থেকে সিলেট অভিমুখী আন্তনগর পারাবত এক্সপ্রেস, জয়ন্তিকা এক্সপ্রেস, কালনি এক্সপ্রেস ও উপবন এক্সপ্রেসে কোন আসন খালি নেই। একই তারিখে সিলেট থেকে চট্রগ্রাম অভিমুকী দিনের পাহাড়িকা এক্সপ্রেস ও রাতের উদয়ন এক্সপ্রেসে ট্রেনে কোন আসন খালি নেই। চট্রগ্রাম থেকেও এই চারদিনে সিলেট অভিুমখী আন্তনগর পাহাড়িকা ও উদয় এক্সপ্রেস ট্রেনের আসন খালি নেই।
ট্রেন যাত্রী আব্দুল হান্নান, সিদ্দিকুর রহমানসহ অনেকেই বলেন, আসলে যাত্রীর চাহিদার তুলনায় ট্রেনগুলো বগি ও আসন স্বল্পতায় এস সমস্যার সৃষ্টি। তারা আরও বলেন, ঢাকার সাথে দিবারাত্রি ট্রেনের বিকল্প হিসাবে বাসযোগে যাতায়াত করা গেলেও চট্রগ্রামের সাথে এ সুযোগ নেই। ফলে অনেকেই বাধ্য হয়ে ট্রেন আসন বিহিন টিকেট কিনে সারাপথ দাঁড়িয়ে যেতে হয়। অনেক যাত্রীরা মনে করেন বাসের তুলনায় ট্রেন ভ্রমণ আরামদায়ক ও অনেকটা নিরাপদ বলে এ সমস্যার মাঝে বাধ্য হয়ে আসন বিহিন টিকেট নিয়ে দাঁড়িয়ে যেতে হবে। শমশেরনগর স্টেশন মাস্টার কবির আহমদ, শ্রীমঙ্গল স্টেশন মাস্টার শাখাওয়াত হোসেন ও সিলেট স্টেশন মাস্টার কাজী শহিদুর রহমান এই চার দিনে ঢাকা ও চট্রগ্রাম অভিমুখী সকল আন্তনগর ট্রেনের টিকেট সংকটের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, শুক্রবার ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটির কারণে বৃহস্পতিবার কোন ট্রেন আসন খালি থাকে না। তার উপর এ সপ্তাহে সিলেট, ঢাকা ও চট্রগ্রামে বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ব বিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার কারণে আগেই টিকেট বিক্রি হয়ে গেছে। এর সাথে যোগ হয়েছে শুল্ক বিভাগে নিয়োগ পরীক্ষা ও বিভিন্ন ব্যাংকের নিয়োগ পরীক্ষা। ফলে আকস্মিকভাবে ট্রেনের টিকেট সংকট দেখা দেয়। ট্রেনগুলো বাড়তি বগি সংযোজন করে আসন বাড়ালে এ সমস্যার অনেকটা সমাধান হতে পারে বলেও নাম প্রকাশ না করে একজন রেল কর্মচারী জানান।