কমলগঞ্জে অব্যবস্থাপনায় ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্র

মৌলভীবাজার প্রতিনিধি
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্রে সমুহকে পরিবার কল্যাণ সেবা বঞ্ছিত হচ্ছেন দম্পতি ও গর্ভবতী নারীরা। অধিকাংশ ক্ষেত্রে নোংরা পরিবেশে ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে অপ্রতুল ঔষধ, সর্বক্ষেত্রে নারীদের সাথে অসদাচরন, পরামর্শ প্রদানেরও ভালো মানের কাউন্সিলার বা চিকিৎসক নেই। তৃণমুল এলাকায় পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের সেবা গ্রহীতাদেরও সচরাচর পাওয়া যায় না বলে অভিযোগ রয়েছে। তবে সংশ্লিষ্টরা অনুষ্ঠান আর আনুষ্ঠানিকতার মধ্যদিয়ে সেবার মান ভালো করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
শমশেরনগর, পতনঊষার ও মুন্সীবাজার এলাকার কয়েকজন দম্পতি ও গর্ভবর্তী নারী অভিযোগ করে বলেন, ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্র সমুহ শুধুমাত্র নামেই রয়েছে। তৃনমুল পর্যায়ে গ্রামের দরিদ্র পরিবার সমুহ এসব প্রতিষ্ঠানের কোন সদস্যেরও দেখা পাওয়া দায়। পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্রে যাওয়ার পর চিকিৎসক, পরিবার কল্যাণ কর্মীর অনুপস্থিতি, নারীদের সাথে অসদাচরন এবং ঔষধ প্রদানে রয়েছে নানা অনিহা। অবকাঠামোগত সমস্যা ছাড়াও নি¤œমানের ঔষধ প্রদান করা হয়। পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র সমুহে নোংরা পরিবেশ, গো-ছাগলের বিষ্টা, মনগড়াভাবে দায়িত্ব পালন চলছে। মনে হয় যেন এটি দেখভাল করার ক্উে ইেন বলে তারা আরও বলেন।
শমশেরনগরের গর্ভবতী নারী সোনিয়া বেগম বলেন, পরিবার কল্যাণ বিভাগের কি সেবা দেয়া হয় সেটা সবারই জানা। কয়েকদিন পূর্বে হাসপাতালে যাওয়ার পথেই রাস্তায় আমার সন্তান প্রসব হয়। পরিবার কল্যাণ বিভাগের সদস্যদের পূর্বে পরামর্শ পাওয়া গেলে এ সমস্যায় পড়তে হতো না।
শমশেরনগর ইউনিয়নের দু’জন নারী বলেন, ইউনিয়ন পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র থেকে বাস্তবে কোন সেবাই পাওয়া যায় না। গর্ভবতী নারীদের ছুটতে হয় হাসপাতাল কিংবা প্রাইভেট ক্লিনিকে। যেখানে সিজারের মাধ্যম হাতিয়ে নেয়া হচ্ছে কাড়ি কাড়ি টাকা। অথচ পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের সেবা প্রদানকারীরা রয়েছেন উদাসিন ও নির্বিকার। ফলে তৃণমুলের দম্পতি ও গর্ভবতী নারীরা চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন।
তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে কমলগঞ্জ উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (অ:দা:) ডা. টি এইচ নিশিতা বলেন, আমাদের পক্ষ থেকে পর্যাপ্ত পরিমানে সেবা দেয়া হচ্ছে। তবে অবকাঠামোগত কিছু সমস্যা থাকলেও সেগুলো কাটিয়ে উঠার চেষ্টা চলছে। কোন অব্যবস্থাপনা ও নোংরা পরিবেশ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আপনি অফিসে আসলে কথা বলবো।