কমলগঞ্জে চা বাগানে বিদ্যুৎ সংযোগে ইলেকট্রিশিয়ানের জালিয়াতির অভিযোগ

কমলগঞ্জ প্রতিনিধি
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের দেওছড়া চা বাগানে বিদ্যুৎ সংযোগ পাইয়ে দেয়ার নামে পল্লী বিদ্যুতের এক ইলেকট্রিশিয়ানের বিরুদ্ধে জালিয়াতির অভিযোগ উঠেছে। চা বাগানের সহজ, সরল লোকদের কাছ থেকে বিদ্যুতায়নের নামে নিজেকে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির দাবি করে স্বাক্ষর প্রদানে ও মিটার সিকিউরিটির জন্য পনেরশ’ টাকা হারে প্রদান করতে হবে বলে ইলেকট্রিশিয়ানের দাবির প্রেক্ষিতে চা শ্রমিকরা মৌলভীবাজারের পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন। তবে ইলেকট্রিশিয়ান অভিযোগ অস্বীকার করেন।
লিখিত অভিযোগে জানা যায়, উপজেলার শমশেরনগর ইউনিয়নের দেওছড়া চা বাগানে মাস্টারপ্লানের আওতায় পল্লী বিদ্যুতায়নের কাজ চলছে। এই সুবাধে শমশেরনগর এর ইলেকট্রিশিয়ান আব্দুল মোহিত নিজেকে পল্লী বিদ্যুতের লোক দাবি করে শ্রমিকদেরকে মিটার সিকিউরিটির জন্য পনেরশ’, স্বাক্ষর নিতে এবং প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশের জন্য তার কাছে টাকা জমা দিতে হবে বলে দাবি করেন। দেওছড়া চা বাগানের সমলু, সামল দাশ, রামানা, সুবল অলমিক সহ ৭০ জন শ্রমিকের স্বাক্ষর সম্বলিত লিখিত অভিযোগ মৌলভীবাজার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার বরাবরে প্রেরণ করা হয়।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে ইলেকট্রিশিয়ান আব্দুল মোহিত বলেন, আমি একজন ইলেকট্রিশিয়ান হিসাবে কাজ নিতে সেখানে যাই এবং কাজ নিয়েই শ্রমিকদের সাথে কথাবার্তা হয়। কারো কাছে নিজেকে পল্লী বিদ্যুতে লোক দাবি করিনি এবং টাকা চাইনি। ষড়যন্ত্র মূলকভাবে একটি পক্ষ আমার বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ দিচ্ছে।
এব্যাপারে মৌলভীবাজার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কমলগঞ্জ জোনালের ডিজিএম মোবারক হোসেন সরকার ইলেকট্রিশিয়ান আব্দুল মোহিতের বিষয়ে সতিঝিরগ্রামের একটি অভিযোগের কথা স্বীকার করে বলেন, চা বাগানের কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি। তিনি আরও বলেন, চা বাগানের এই কাজ ঠিকাদার করবে। ইলেকট্রিশিয়ান ওয়্যারিং কাজ করে অফিসে জমা দিবে। পরবর্তীতে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি মিটারের কাজ চালিয়ে যাবে। এছাড়া আর ইলেকট্রিশিয়ানের কোন কাজ নেই।