চিকুনগুনিয়া নিয়ে নানা বিভ্রান্তি

ঢাকা : সাম্প্রতিক সময়ে সবচেয়ে আলোচিত শব্দ ‘চিকুনগুনিয়া’। এটা একটা মশাবাহিত ভাইরাস রোগের নাম। রাজধানীসহ সারাদেশে চিকুনগুনিয়া নামের ভাইরাস জ্বর মহামারী আকার ধারণ করেছে। এডিস ইজিপ্টাই ও এডিস এ্যালবুপিক্টাসের কামড়ে রোগটি ছড়ায়। কয়েকদিন জ্বর থাকে। পেশী ও জয়েন্টে প্রচণ্ড ব্যথা হয়। থাকে সর্দি-কাশি অন্যান্য উপসর্গ।

এই রোগটি আমাদের দেশে নতুন হওয়ায় এ নিয়ে আমাদের মাঝে নানা বিভ্রান্তি। তবে এখন চিকুনগুনিয়া সম্পর্কে প্রতিদিনই আমাদের ধারণা বদলাচ্ছে। এই রোগের সবচেয়ে বিপজ্জনক দিক হচ্ছে জয়েন্ট পেইন। যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল (সিডিসি)-এর বিশেষজ্ঞগণ বলছেন, চিকুনগুনিয়ার কোনো ভ্যাকসিন নেই, আক্রান্ত ব্যক্তিকে পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিতে হবে। পান করতে হবে প্রচুর পানি, ফ্লুইড। রোগীকে পেইন কিলার দেওয়া যাবে না।

আর চিকুনগুনিয়া রোগীদের কতদিন জয়েন্টে ব্যথা থাকবে সে সম্পর্কে বিশেষজ্ঞগণ বলছেন, ক্ষেত্র বিশেষ এ ধরনের সমস্যা এক বছর পর্যন্ত থাকতে পারে। শুধু পেইন নয়, এই রোগে ত্বকের নানা ক্ষতি হতে পারে। বিশিষ্ট চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক এমইউ কবীর চৌধুরীর মতে চিকুনগুনিয়ার রোগীদের হাত-পায়ের ত্বকের রংয়ের পরিবর্তন হতে পারে। ত্বকে বিভিন্ন ধরনের পিগমেন্ট পড়তে পারে।

এ ব্যাপারে বিশিষ্ট মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক এবিএম আব্দুল্লাহ জানান, চিকুনগুনিয়ার ব্যথা যদি দীর্ঘ মেয়াদি হয় সেক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী পেইন কিলার সেবন করা যেতে পারে। শুধু প্যারাসিটামল যথেষ্ট নয়। কিছু কিছু ক্ষেত্রে স্টেরয়েড জাতীয় ওষুধ দিয়ে তিনি সুফল পেয়েছেন। তবে চিকিৎসকের পরামর্শ ব্যতীত এ জাতীয় ওষুধ সেবন করা যাবে না।

এদিকে চিকুনগুনিয়া রোগ নিয়ে অনেক ক্ষেত্রে চিকিৎসকগণও বিভ্রান্তি তৈরি করছেন। এক একজন চিকিৎসক একেক ধরনের মতামত দিচ্ছেন। এতে সাধারণ রোগীরা আতঙ্কিত ও বিভ্রান্ত হচ্ছে। অথচ প্রয়োজন সচেতনতা, বিভ্রান্তি ও আতঙ্ক নয়।