স্বরূপকাঠিতে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষন চেষ্টার অভিযোগে মামলা

0
(0)

হযরত আলী হিরু,পিরোজপুর প্রতিনিধি ॥
পিরোজপুরের স্বরূপকাঠির গুয়ারেখা ইউনিয়নের এক গরিব মেধাবী স্কুল ছাত্রীর ছবি বিকৃত করে সেটা ইন্টারনেটে ছাড়ার ভয় দেখিয়ে ধর্র্ষনের চেষ্টা চালানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে বুধবার রাতে ছাত্রীটি বাদী হয়ে নেছারাবাদ থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে। ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়ার জন্য এলাকার প্রভাবশালী একটি মহল ওই ছাত্রীটির পরিবারকে হুমকি দিচ্ছে। উপজেলার গুয়ারেখা ইউনিয়নের রুদ্রপুর গ্রামের ওই স্কুল ছাত্রীটি জানায় তার পিতা একজন দিনমজুর অন্যের জমিতে কাজ করে সে কোন রকমে তাদের সংসার চালায়। ওই ইউনিয়নের রাখাতলা গ্রামের হারুন অর রশিদ ফকিরের ছেলে ইব্রাহিম ফকির (৩৫) রুদ্র্রপুর বাজারের একজন কাপড়ের দোকানী। ইব্রাহিম ওই ছাত্রীটির পিতাকে ১ মাস পূর্বে একটি এনজিও থেকে ঋন পাইয়ে দেবার কথা বলে তাদের বাসায় যাতায়াত করত। কোন এক সময় ছাত্রটির অজান্তে কৌসলে তার একটি ছবি নিজের মোবাইলে ধারন করে ইব্রাহিম। পরে সেই ছবিটাকে একটি অশ্লিল ছবির সাথে জুড়ে দিয়ে ছাত্রীটিকে দেখায়। ছাত্রীটি ছবিটাকে মুছে ফেলার জন্য ইব্র্রাহিমকে অনুরোধ করে। ভয়ে এবং লজ্জায় বিষয়টি পরিবারের কাছে গোপন রাখে ছাত্রীটি। গত শুক্রবার আনুমানিক দুপুর এক টার দিকে ইব্রাহিম ওই ছাত্রীটির বাসায় ফোন দিয়ে ছাত্রীটিকে ছবি মুছতে তার দোকানে ডাকে। মা এখন বাসায় নেই বিকেলে মাকে নিয়ে দোকানে আসবে জানায় ছাত্রীটি। জবাবে ইব্রাহিম বিকেলে দোকানে থাকবে না তৎক্ষনিক দোকানে না আসলে ওই ছবি ইন্টারনেটে ছেড়ে দেয়া হবে বলে হুমকি দেয়। উপায়ন্তর না দেখে ছাত্রীটি ওই দোকানে গেলে ইব্র্রাহিম নিজের হাতে কাজ ছাত্রীটিকে দোকানের দোতলা থেকে মোবাইলটা আনার জন্য বলে । ছাত্রীটি দোকানের দোতলায় ওঠা মাত্রই ইব্রাহিম সেখানে গিয়ে তাকে ঝাপটে ধরে ধর্ষনের চেষ্টা চালায়। এসময় মেয়েটি চিৎকার করলে পাশের মসজিদে জুমা নামাজরত মুসল্লিদের ভয়ে ইব্রাহিম তাকে ছেড়ে দেয়। পরে বিষয়টি ওই ছাত্রী ও তার মা স্থানীয় ইউপি সদস্যা পলি মজুমদারকে জানালে ইব্রাহিম ও তার পক্ষের কিছুু প্রভাবশালীরা এ ব্যাপারে কারও কাছে মুখ না খোলার জন্য বলে অন্যথায় তাদেরকে জীবন নাশের হুমকি দেয়। এ ব্যাপারে ওই এলাকার ইউপি সদস্যা পলি মজুমদার জানান ছাত্রীটি জেএসসি পরিক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়েছিল সামনে তার এসএসসি পরিক্ষা। লজ্জায় ছাত্রীটি স্কুলে যাওয়া বন্ধের উপক্রম হয়েছে। সাবেক ইউপি সদস্য জাকির হোসেন জানান, ঘটনা সত্যি হলে দোষির বিচার হওয়া উচিত। ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সুব্রত কুমার ঠাকুর বলেন বিষয়টি নিন্দনীয় এ ব্যাপারে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামানা করেন তিনি। পাটিকেলবাড়ি ফাঁড়ির ইনচার্য এস আই দেলোয়ার হোসেন বলেন লোকমুখে খবর পেয়ে ফাঁড়ির এএসআই কালাম ঘটনাস্থলে গেলে ওই ইউনিয়নের সভাপতি হিরালাল বড়াল ফোনে ছাত্রীটির পিতার উদৃতি দিয়ে তাকে জানিয়েছেন বিয়ষটি মিথ্যা তবে ছাত্রীটির পিতার সাথে তার কোন কথা হয়নি বলে তিনি জানান। নেছারাবাদ থানার ওসি মুনিরুল ইসলাম জানান, এ ব্যাপারে থানায় মামলা রুজু করা হয়েছে আসামী পালাতক তাকে ধরার চেষ্টা চলছে।

How useful was this post?

Click on a star to rate it!

Average rating 0 / 5. Vote count: 0

No votes so far! Be the first to rate this post.