কমলগঞ্জের হাওর এলাকায় কারেন্ট ছড়াছড়ি ॥ বিনষ্ট হচ্ছে ক্ষেত

কমলগঞ্জ প্রতিনিধি
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে সম্প্রতি টানা বর্ষনে ও উজানের পাহাড়ি ঢলে নদী ভাঙ্গনের ফলে বন্যার পর নি¤œাঞ্চলে জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। পতনউষারের কেওলার হাওরসহ তিন ইউনিয়নের মধ্যবর্তী স্থানে জলাবদ্ধ এলাকায় মাছ শিকারীরা নিষিদ্ধ কারেন্ট জালের ছড়া ছড়ি হয়ে পড়ছে। কারেন্ট জাল পোতার ফলে কৃষকের আমন ক্ষেত নষ্ট হওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
স্থানীয় এলাকাবাসী জানান, বন্যার পর জলাবদ্ধতায় শমশেরনগর, মুন্সীবাজার ও পতনঊষার ইউনিয়নের কেওলার হাওর এবং আশপাশ এলাকায় মাছ শিকারী চক্র নিষিদ্ধ কারেন্ট জালের অবাধ ব্যবহার শুরু করেছেন। কারেন্ট জাল ব্যবহারের ফলে ছোট পোনা মাছ থেকে শুরু করে বড় মাছ, সাপ, ব্যাঙ, কুচিয়া সহ নানা ধরনের জলজ প্রাণী জালে আটকা পড়ে মারা যাচ্ছে। কারেন্ট জাল ব্যবহারকারীরা এলাকায় প্রতিযোগীতায় মেতে উঠেছে। এজাল পোতা এবং সময়ে সময়ে জাল থেকে মাছ সংগ্রহ করতে ঘন ঘন আসা যাওয়ার কারনে অর্ধেক পানিতে নিমজ্জিত আমন ক্ষেত নষ্ট হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে।
পতনউষারের কৃষক ফটিকুল ইসলাম, অজয় দত্ত, হিমেন্দ্র, রমজান আলী, সন্তোষ ধর বলেন, দফায় দফায় বন্যায় গত বোরো মওসুম থেকে আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি। সর্বশেষ অমৌসুমেও বন্যার পর জলাবদ্ধ কেওলার হাওর এলাকার চর্তুপার্শ্বে কারেন্ট জাল ব্যবহারকারীদের অপতৎপরতার কারনে আমাদের যেটুকু আমন ক্ষেত ছিল, সেগুলো তছনছ করে ফেলছেন। তারা আরও বলেন, প্রত্যেক বন্যার পর এখানে কারেন্ট জাল আর লাঘাটা ও পলক নদীতে বাঁশের খাঁটি (বেড়া) দিয়ে মাছ শিকারের নামে নানা সমস্যার সৃষ্টি করছেন। প্রশাসন এসব বিষয়ে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় কারেন্ট জাল ও বাঁশের খাঁটি ব্যবহারকারী মাছ শিকারীরা আরও উৎসাহিত হচ্ছেন।
এ বিষয়ে কমলগঞ্জ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. শাহাদাত হোসেন বলেন, আমি একটি কাজে উপজেলার বাইরে থাকায় বৃহস্পতিবার কোন অভিযান করা সম্ভব হয়নি। তবে আজ শুক্রবার অভিযান চালানোর চেষ্টা করবো। কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাহমুদুল হক বলেন, কাজে ব্যস্ততার কারনে সময় দিতে পারছি না। তবে মৎস্য অফিসার সাহেব এ বিষয়ে অভিযান চালাবেন।