গৌরনদীতে মন্দির ভাঙচুর ও বিস্ফোরক মামলায় বিএনপি নেতা কাজল জেল হাজতে

স্টাফ রিপোর্টার,গৌরনদী।
মন্দির ভাঙচুর ও বিস্ফোরক মামলায় আদালত বুধবার (২৩ ফেব্রæয়ারী ২০২২ইং) দুপুরে বরিশাল (উত্তর) জেলা বিএনপির নবগঠিত আহবায়ক কমিটির সদস্য ও গৌরনদী উপজেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি, সিনিয়র বিএনপি নেতা মোঃ রফিকুল ইসলাম কাজলকে জেল হাজতে পাঠিয়েছে।
জানাগেছে, মুসলমানদের পবিত্র ধর্মগ্রন্থ আল কোরআন নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে জনৈক ব্যাক্তির দেয়া একটি পোস্টের নিচে গত বছরের অক্টোরব মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে বরিশালের গৌরনদী উপজেলার ধুরিয়াইল গ্রামের মহানন্দ বাড়ৈ ওরফে মিঠুন বাড়ৈ নামের জনৈক যুবক একটি আপত্তিকর কমেন্ট করে। ১৫অক্টোবর শুক্রবার সন্ধ্যার পরে ওই কমেন্টটি স্থানীয় ইসলাম ধর্মাবলম্বী কয়েকজন ব্যক্তির নজরে আসে। মুহুর্তের মধ্যে তারা ওই কমেন্টটিকে ভাইরাল করে দেয়। এক পর্যায়ে ওইদিন রাত সাড়ে ৯টার দিকে স্থানীয় কিছু মুসলিম লোকজন জোটবদ্ধ হয়ে ধুরিয়াইল কাজিরপাড় সার্বজনীন দূর্গা মন্দির, পার্শ্ববর্তী কালী মন্দির এবং জগদিশ বৈদ্যর বাড়ির হরিচাঁদ মন্দিরে হামলা চালিয়ে মন্দির ঘর ও প্রতিমা ব্যাপক ভাংচুর করে। এ ঘটনায় ১৬ অক্টোবর রাতে ধুরিয়াইল কাজিরপাড় সার্বজনীন দূর্গা মন্দির কমিটির সাধারণ সম্পাদক সুভাষ বৈদ্য বাদি হয়ে স্থানীয় মুসলিম সম্প্রদায়ের ২৪ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনানা আরো ৫০/৬০জনকে আসামী করে থানায় মামলা দুটি করেন। ওই মামলার একটিতে আসামী করা হয় ঘটনার সময়ে রাজধানী ঢাকায় অবস্থানরত ব্যবসায়ী ও বিএনপির সিনিয়র নেতা মোঃ রফিকুল ইসলাম কাজলকে। ওই মামলায় বুধবার দুপুর ১২টায় বরিশাল জেলা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আতœসমর্পন করে জামিন প্রার্থনা করেন তিনি। আদালতের বিচারক এস.এম মাহফুজ আলম এ সময় তার জামিন আবেদন না মঞ্জুর করে তাকে জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ প্রদান করেন। পুলিশ তখন তাকে বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠিয়ে দেয়।
আদালতে আতœসমর্পনের পূর্বে স্থানীয় সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে দেয়া বক্তব্যে বিএনপি নেতা কাজল বলেন, ওই হামলার ঘটনা সম্পর্কে পূর্বাপর আমি কিছুই জানি না। রাজনৈতিক দূরভিসন্ধি থেকে আমাকে হয়রানীর উদ্দেশ্যে এ মামলায় জড়ানো হয়েছে। ব্যক্তি জীবনে আমি কোন প্রকার নৈরাজ্য পছন্দ করি না। দল ও মতের পার্থক্য থাকতে পারে কিন্তু আমি সকলের সাথে সামাজিক সুসম্পর্ক বজায় রাখি।