ভিন্ন পরিবেশে গৌরনদীতে শিক্ষার্থীদের ক্লাসে ফেরা


মো.আহছান উল্লাহ ও বিডি কামাল।
দীর্ঘ্য বন্ধের পর স্কুলের পোশাকে ক্লাসে সহপাঠীদের সঙ্গে কাটানোর আনন্দটা অন্য রকম ছিল শিক্ষার্থীদের কাছে। উপস্থিত শিক্ষার্থীদের চোখে মুখে ছিল খুশির ঝিলিক। তবে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি ছিল কম এবং মেয়েদের তুলনায় ছেলেদের উপস্থিতিও কম ছিল। আবার অনেক অবিভাবক সন্তানকে প্রথম দিন স্কুলে পাঠাননি।
গতকাল মঙ্গলবার সকালে উপজেলার প্রত্যন্ত চাঁদশি ঈশ^র চন্দ্র মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখাগেছে, স্বাস্থ্যবিধি মানার কমবেশি চেষ্টা চলছে। ভিন্ন এক পরিবেশে মাস্ক পরে হাত ধুয়ে হ্যান্ড স্যানিটাইজারের মাধ্যমে জীবাণুমুক্ত হয়ে ক্লাসে ফেরার চেষ্টা শিক্ষার্থীদের।
ওই স্কুলের ১০ম শ্রেনীর ছাত্র মো. সুজন খান বলেন, ঘরে থাকতে থাকতে অসস্থি লাগছিল সব সময় মনে হতো কবে স্কুল খুলবে, কবে আবার ক্লাসে যাব। অনেকদিন পর আমার আক্ষেপ শেষ হয়েছে। স্কুলে এসেছি অনেক ভালো লাগছে আনন্দ লাগছে।

 

৮ম শ্রেণীর ছাত্রী রাফিয়া আক্তার ও প্রিয়া আক্তার বলেন,আজকের স্কুলে আসার আনন্দটা ভাষায় প্রকাশ করতে পারছি না। জীবনে প্রথম যেদিন স্কুলে এসেছিলাম, আজকে এসে ঠিক একই অনুভূতি মনে হচ্ছে।
স্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষক কাজী আসাদুজ্জামান বলেন এ স্কুলে মোট শিক্ষার্থী ৪শ ৪৭জন। এরমধ্যে ২৫০ জন ছাত্রী। প্রত্যন্ত এলাকার স্কুল হিসেবে প্রথমদিনের উপস্থিতি অনেক ভালো। সরকারি নির্দ্দেশনা অনুযায়ী স্বাস্থ্যবিধি পরিপালন ও পাঠদান শুরু করা হয়েছে।
স্কুলের প্রধান শিক্ষক অঞ্জনা রানী মন্ডল বলেন, দীর্ঘদিন পর স্কুল খুলছে এবং করোনা সংক্রমণের আশঙ্কায় হয়তো প্রথম দিন উপস্থিতি একটু কম হতে পারে। মনে হচ্ছে কিছু অভিভাবক এখনো দ্বিধাগ্রস্থ,তবে আমরা অভিভাবকদের সঙ্গে যোগাযোগ করছি।
গৌরনদী উপজেলা সহকারী মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার লিটু চাটার্জি বলেন,শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি পরিপালনের নির্দ্দেশনা দেয়া হয়েছে এবং আমরা সার্বক্ষনিক মনিটরিং করছি। যে সব স্কুলে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি বেশী হবে সে সব প্রতিষ্ঠানকে আলাদা করে পাঠদানের ব্যাবস্থার কথাও বলা হয়েছে।