আদিত্যর ব্লাক অষ্টাল ও তিতির মুরগির খামার

0
(0)


মো.আহছান উল্লাহ,গৌরনদী।
করোনাকলীন সময়ে ব্লাক অষ্টাল ও তিতির মুরগির খামার করে,তরুনদের আশার আলো দেখাচ্ছেন ছাত্র ইহসাছ শাহরিয়ার আদিত্য। তিনি উপজেলার দক্ষিন পালরদী গ্রামের কুয়েত প্রবাসী পুষ্টিবীদ ইলিয়াস বীন শওকতের পুত্র। অত্যন্ত সুস্বাদ ও পুষ্টিগুনের সাথে তিতিরের আছে অনেক ঔষধিগুন। পুষ্টির চাহিদা মেটাতে গ্রাম পর্য্যায় এর ব্যাপক চাষ করার পরিকল্পনা তার। তরুনদের কর্মমূখি করে কম খরচে গ্রামীন জনপদের সাধারন মানুষের পুুষ্টির চাহিদা মিটিয়ে নিজেও একজন সফল উদ্যোক্তা হতে চান বিশ্ববিদ্যালয় পড়–য়া ছাত্র শাহরিয়ার আদিত্য।

আদিত্য জানান, দুই বছর আগে গাজীপুরের এক খামার থেকে তিন মাস বয়সের একশ ব্লাক অষ্টাল,একশ তিথির মুরগির বাচ্ছা এনে নিজ বাড়িতে খামারটি করেছেন। নিজ বাড়ির আঙ্গিনায় খামারটি করে দুই বছরে তিনি অনেক লাভবান হয়েছেন। বর্তমানে তিনি ডিম ফুটানো মেশিন দিয়ে নিজেই বাচ্ছা তৈরি করছেন। খামারের পরিধি বাড়ানোর জন্য আরো দুটি সেট তৈরির কাজ চলছে। তারমতে এ প্রজাতির মুরগি যে কোন আবহাওয়ায় পালন করা যায়।
তিনি দুই প্রজাতির পঞ্চাশটি মুরগি কোন বানিজ্যিক খাবার না দিয়ে ধান,গম,সুটকি মিশ্রিত ভুষি ও ঘাস খাইয়ে পালন করছেন সে গুলোর রেজাল্টও ভালো আসছে। বর্তমানে খামারে বয়স্ক ও বাচ্ছাসহ ৪শত মোরগ মুরগি আছে। আগামী সপ্তাহে আরো তিনশত বাচ্ছা বের হবে,বর্তমানে প্রতিদিন গরে ২শত পিচ ডিম পাচ্ছি। তিনি আরো জানান ব্লাক অষ্টাল প্রজাতির মুরগিটি অষ্ট্রেলিয়ান জাত এটি ডিমের ও গোস্তের জন্য পালন করা যায়। ব্লাক অষ্টাল প্রায় বারো মাসই ডিম দেয়,একটানা তিন মাস ডিম দেয়ার পরে সর্বোচ্চ এক সপ্তাহ দশদিন বিরতি দিয়ে আবার ডিম দেয়া শুরু করে।
খামার দেখতে আসা সহিদ সরদার বলেন একজন ছাত্র হয়ে তার উদ্যোগ প্রসংসার দাবী রাখে। আমি নিজেও তার থেকে পরামর্শ নিয়ে একটি খামার করার কাজ শুরু করেছি।
গৌরনদী উপজেলা প্রানী সম্পদ কর্মকর্তা মো.মাসুম বিল্লাহ বলেন, বøাক অষ্টাল এবং তিতির এর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক বেশী। যে কোন আবহাওয়ায় এর বানিজ্যিক খামার করে উদ্যোক্তরা লাভবান হতে পারেন।
আইয়ুরর্বেদ চিকিৎসক ও পুষ্টিবীদ ডাঃ মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, তিতির মুরগির গোস্তর পুষ্ঠির সাথে আছে অনেক ওষধিগুন। এ বিষয়ে বিখ্যাত দার্শনিক আল্লামা দামেরী (রঃ) তার বিখ্যাত হায়াতুল হায়াওয়ান নামক গ্রন্থের ৩৫৫ পৃষ্ঠায় লিখেছেন,তিতিরের গোস্ত মস্তিষ্ক ও যৌন শক্তির জন্য উপকারী। এর গোস্ত ঠান্ডাজনিত রোগ সারাতে ও স্বৃতিশক্তি বাড়াতে ভালো কাজ করে। এমনকি ইহার পিত্ত ও পালক দিয়েও ঔষধ তৈরি হয়।

How useful was this post?

Click on a star to rate it!

Average rating 0 / 5. Vote count: 0

No votes so far! Be the first to rate this post.