নাজিরপুরে কলেজ ছাত্রীকে ভারতে পাচারের অভিযোগে গ্রেফতার এক

হযরত আলী হিরু, পিরোজপুর প্রতিনিধি ॥
পিরোজপুরের নাজিরপুরে প্রেমের ফাঁদে ফেলে এক কলেজ ছাত্রীকে ভারতে পাচারের অভিযোগে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। গত ১১ অক্টোবর ওই কলেজ ছাত্রীর বড় ভাই নয়ন শেখ ৫ জনের নাম উল্লেখ করে মানব পাচার অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনাল আদালত পিরোজপুরে এ মামলা দায়ের করেন। আদালত বাদীর অভিযোগ এফআইআর হিসেবে গ্রহণ করে আগামী ২৭ নভেম্বর প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নাজিরপুর থানার অফিসার ইনচার্জকে নির্দেশ প্রদান করেন। পুলিশ সুপার পিরোজপুরের মাধ্যমে আদালতের আদেশ প্রাপ্ত হয়ে গত শুক্রবার থানায় মামলা রুজু হয়। ওই দিন রাতেই পাচারকারী দীপক কুমার বসুকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গতকাল শনিবার ৭দিনের রিমান্ড চেয়ে তাকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। মামলা সূত্রে জানা যায়, উপজেলার শাখারীকাঠী গ্রামের মৃত মাহমুদ শেখের মেয়ে ও ঢাকার মিরপুর বাংলা কলেজের ছাত্রী মরিয়মকে (২৫) একই গ্রামের দীপক কুমার বসুর ছেলে গোপাল বসু প্রেমের ফাঁদে ফেলে ফুসলিয়ে গত ১৭ জুলাই বিকেলে বাড়ী থেকে ডেকে নেয়। পরবর্তীতে গোপাল বসু আসামী দীপক বসু, নমিতা বসু, দেবাশীষ বসু ও বিপুল মিস্ত্রীর সহায়তায় মরিয়মকে চাকুরীর প্রলোভন দেখিয়ে ভারতে পাচার করেছে। ওই কলেজ ছাত্রীকে ভারতের কোন পতিতালয়ে যৌনদাসী হিসেবে ব্যবহার করা হতে পারে বলে দাবী করে মামলার বাদী নয়ন শেখ বলেন, আসামী দীপক কুমার বসু ও গোপাল বসু ইতিপূর্বে চাকুরীর প্রলোভন দেখিয়ে অনেক মেয়েকে ভারতে পাচার করেছে। সেখানে নিয়ে তাদের বিভিন্ন পতিতালয়ে যৌনদাসী হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। এ ঘটনা জানতে পেরে আমার বোন মরিয়মকে ফিরিয়ে দেয়ার জন্য বলা হলে আমার বোন গোপাল বসুর সাথে ভারতে ভাল আছে বলে জানান দীপক বসু। পরে বাধ্য হয়ে আমরা আইনের আশ্রয় নিয়েছি।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা নাজিরপুর থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক হারুন অর রশিদ বলেন, মামলা রুজুর পরপরই আসামী দীপক বসুকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাকে ৭দিনের রিমান্ড চেয়ে বিজ্ঞ আদালতে পাঠানো হয়েছে। অপর আসামীদের গ্রেফতারসহ ভিকটিম উদ্ধারের জন্য পুলিশি তৎপরতা অব্যহত রয়েছে।