কুয়েত থেকে ৫ মরদেহ আসছে বৃহস্পতিবার ॥ অপেক্ষায় স্বজনরা

জয়নাল আবেদীন , মৌলভীবাজার
মধ্যপ্রাচ্যের কুয়েত শহরে একটি আবাসিক ভবনের এসির কমপ্রেসার বিষ্ফোরণে শ্বাসরুদ্ধ হয়ে মুত্যুবরণকারী কমলগঞ্জের জুনেদ আহমেদর স্ত্রী, দুই ছেলে ও দুই মেয়েসহ পাঁচজনের মরদেহ আসছে বৃহস্পতিবার(১৯ অক্টোবর)। শেষবারের মত মরদেহ দেখেই নামাজে জানাজা মেষে দাফেনের অপেক্ষায় রয়েছেন স্বজনরা। সোমবার(১৬ অক্টোবর) বাংলাদেশ সময় বিকাল পাঁচটায় কুয়েত শহরের সালমিয়াত এলাকায় এ দুর্ঘটনাটি ঘটে। উপজেলার কান্দিগাঁও গ্রামের জুনেদ আহমদ স্ত্রী রোকেয়া বেগম (৩৪), মেয়ে জামিলা আহমদ(১৫), ছেলে ফাহাদ আহমদ (১২), ছেলে ইমাদ (৯) ও মেয়েনাবিলা আহমদ (৫)কে নিয়ে দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে কুয়েতে বসবাস করতেন। তিনি সেখানে কুয়েত সামরিক বাহিনীতে চাকুরী করছেন। আকস্মিমকভাবে ভবনের তিন তলার একটি বাসার এসির কম্প্রেসার বিষ্ফোরণ ঘটে আগুন লেগে যায় ভবনে। ভয়ে প্রাণ বাঁচাতে চার সন্তান নিয়ে ৫ তলা থেকে নামতে গিয়ে ধোঁয়ায়া শ্বাসরুদ্ধ হয়ে জুনেদ আহমদের স্ত্রী রোকেয়া বেগম, মেয়ে জামিলা আহমদ, ছেলে ফাহাদ আহমদ, ছেলে ইমাদ ও মেয়েনাবিলা আহমদ মৃত্যুবরণ করেন।
বুধবার বিকাল সাড়ে চারটায় নিহত রোকেয়া বেগমের বড় ভাই অপসোনিন ফার্মাসিউটিক্যালের বিক্রয় প্রতিনিধি কাবির হোসেন এ প্রতিনিধিকে বলেন, কুয়েতে রোকেয়ার স্বামী জুনেদ আহমদের সাথে কথা হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন বুধবার রাত ৮টায় কুয়েত এয়ারওয়েজের একটি বিমানে করে মরদেহগুলি আনা হবে। বৃহস্পতিবার সকালে ফ্লাইট ঢাকায় পৌছলে ঢাকাস্থ কুয়েত দূতাবাসের ব্যবস্থাপনায় মরদেহগুলি গ্রামে পৌছবে বেলা দুইটার দিকে। এখানে স্বজনদের সাথে আলোচনা করেই বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দাফনের চেষ্টা করা হবে।
কান্দিগাঁও গ্রামে জুনেদ আহমদের বড় বোন মুসলিমা বেগম জানান, তারা এখন লাশের অপেক্ষায় আছেন। লাশ আসার পর পরিবার ও গ্রামবাসীরা শেষ বারের মত দেখে নামাজে জানাজা শেষে গ্রাম্য কবরস্থানে দাফন করবেন।