স্বরূপকাঠি উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকর অসাদাচারনের বিরুদ্ধে রেজুলেশন

0
(0)

হযরত আলী হিরু,পিরোজপুর প্রতিনিধি ॥
পিরোজপুরের স্বরূপকাঠিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের দেখে নেয়ার হুমকি এবং অশালীন আচরণের ঘটনায় বুধবার সকাল ১১টায় স্বরূপকাঠি ইউএনও কার্যালয়ের সভা কক্ষে উপজেলায় কর্মরত কর্মকর্তারা উপস্থিত হয়ে এ ঘটনার প্রতিবাদ লিপিতে স্বাক্ষর করেন। এ ছাড়া এর আগে তাঁর বিরুদ্ধে এক জরুরি সভায় আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার জন্য রেজুলেশন করা হয়েছে। সভায় উপস্থিত সকলের সম্মতিক্রমে অভিযুক্ত খাদ্য নিয়ন্ত্রকের অশালিন ও অসাদাচারনের কারনে তাকে অতিসত্তর অন্যত্র বদলীসহ তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার জন্য উর্ধতন কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্ট সকলের বরাবরে অভিযোগ পত্র প্রেরণ করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবু সাঈদ বলেন, মাসিক সমন্বয় সভায় তিনি পর পর দুই বার অনুপস্থিত থাকায় তাকে কারন দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়। এর পর তিনি নোটিশের উত্তর না দিয়ে ১২ অক্টোবর উপজেলা আইন শৃঙ্খলা কমিটির সদস্য না হওয়া সত্ত্বেও সভায় উপস্থিত হয়ে আমার কাছে নোটিশ কেন দেয়া হলো এর কৈফিয়ত তলব করেন। এবং আমার চাকুরির বয়স কতদিন হয়েছে জানতে চান। পরিশেষে হুমকি দেন আমাকে দেখে নেয়ার। এমনকি আমার গায়ে হাত তোলার জন্যও তেড়ে আসেন। এ ঘটনা উপস্থিত সকলের সামনেই ঘটেছে। এ বিষয়ে আমি কোথাও লিখিত কোন অভিযোগ করিনি। ভেবেছিলাম অপ্রত্যাশিত ঘটনা ঘটেছে। পরে এর সমাধান হয়ে যাবে। কিন্তু সে আমাকে হুমকি দিয়েই থেমে থাকেনি। বিভিন্ন মহলে আমার এবং আমার কর্মচারিদের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ এনেছে। যা সত্যিই বিশ্ময়কর। এদিকে এ ব্যাপারে উপজেলা চেয়ারম্যান ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, খাদ্য নিয়ন্ত্রক গোলাম মোস্তফাকে কয়েকদিন আগে আমার উপজেলা অফিস কক্ষে সালাম (আসতে) জানিয়ে ছিলাম। প্রতিউত্তরে তিনি আমাকে তার রুমে গিয়ে দেখা করার জন্য বলেন। এর পর আমি আর তাকে কিছু বলিনি। উপজেলা চেয়ারম্যান আরও বলেন, তার ব্যাবহার চাকুরি বিধি পরিপন্থি। কোন সুস্থ মানুষ এটা করতে পারে না। এ ঘটনার সময় উপস্থিত বলদিয়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মো. শাহিন আহম্মেদ বলেন, সভা চলাকালিন সময় ইউএনওকে তিনি শুধু কৈফিয়ত তলবই করেন নাই তাকে শারীরিকভাবে হেনস্থা করতেও উদ্যত হয়েছিলেন ওই কর্মকর্তা। পৌর মেয়র গোলাম কবির বলেন, লোকটাকে আমার মানুষিক বিকারগ্রস্থ বলে মনে হয়েছে। আসলে তার আচার আচরন শালিন নয়। এছাড়াও খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে রেজুলেশনে মন্তব্য দেন, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান লাভলু আহম্মেদ, উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা ইব্রাহিম খলিল, পল্লী বিদ্যুতের ডিজিএম মো. সাইফুল আহম্মেদ, স্বরূপকাঠি সদর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আল আমিন পারভেজ, গুয়ারেখা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান সুব্রত কুমার ঠাকুর, সমুদয়কাঠি ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মাহামুদ করিম সবুর, সোহাগদল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুর রশিদ, জলাবাড়ি ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আশিষ কুমার বড়াল, আটঘর-কুড়িয়ানা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান শেখর সিকদারসহ আরও কয়েকজন। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত উপজেলার খাদ্য নিয়ন্ত্রক (চলতি দায়িত্ব) মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা বলেন , আমি সরকারি অফিসে ব্যস্ত থাকায় সমন্বয় সভায় উপস্থিত হতে পারিনি। তবে তিনি আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভায় ইউএনও সাথে অশালিন আচরন এবং লাঞ্চিত হওয়ার ব্যাপারটি এড়িয়ে যান।

How useful was this post?

Click on a star to rate it!

Average rating 0 / 5. Vote count: 0

No votes so far! Be the first to rate this post.