গৌরনদীতে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ আহত ২

গৌরনদী (বরিশাল) প্রতিনিধি
আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে শুক্রবার রাতে ও শনিবার সকালে বরিশালের সরকারী গৌরনদী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ ক্যাম্পাসে ও ক্যাম্পাসের বাইরে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে হামলা, পাল্টা হামলা, ধাওয়া, পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে ২ ছাত্রলীগ কর্মী আহত হয়েছে। আহতদেরকে গৌরনদী উপজেলা ম্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
জানাগেছে, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সরকারী গৌরনদী কলেজ ছাত্র সংসদের ভিপি সুমন মাহামুদ ও কলেজ ছাত্র সংসদের ক্রীড়া সম্পাদক আরিফ মিয়ার মধ্যে দীর্ঘ দিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল।
কলেজ ছাত্র সংসদের ক্রীড়া সম্পাদক আরিফ মিয়া অভিযোগ করেন, এ বিরোধের জের ধরে ভিপি সুমন মাহামুদ এর ছোট ভাই কলেজের একাদশ শ্রেনীর ছাত্র ও ছাত্রলীগ কর্মী সাগর মোল্লা শুক্রবার রাত ৯টার দিকে আরিফ মিয়ার অনুসারী ওই কলেজের একাদশ শ্রেনীর ছাত্র ও ছাত্রলীগ কর্মী হাসান মৃধার উপজেলা সদরের চরগাধাতলী গ্রামের ভাড়া বাসায় চড়াও হয়ে তাকে বাসা থেকে ধরে নিয়ে পার্শ্ববর্তি একটি মেহগনি বাগানের মধ্যে ফেলে বেধরক পিটিয়ে আহত করে। পরে স্বজনরা সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে গৌরনদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। এ ঘটনার পর গতকাল শনিবার সকাল ১০টার দিকে আরিফ মিয়ার অনুসারী ছাত্রলীগ কর্মীরা কলেজ ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে গেলে ভিপি সুমনের অনুসারী এক ছাত্রলীগ কর্মীর গায়ে ধাক্কা লাগার অজুহাত তুলে সুমন গ্রুপের ছাক্রলীগ কর্মীরা সৈয়দ নাহিদ নামে আরিফ মিয়ার অনুসারী, অপর এক ছাত্রলীগ কর্মীকে পিটিয়ে আহত করে। পরে সহযোগীরা তাকে উদ্ধার করে গৌরনদী উপজেলা ম্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। এর জের ধরে উভয় গ্রুপের কমীরা তখন ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ায় লিপ্ত হয়। তখন পুরো ক্যাম্পাস ও আসপাশের এলাকাং আতংক ছড়িয়ে পড়ে। আতঙ্কিত সাধারন ছাত্রছাত্রীরা ভয়ে দ্রত ক্যাম্পাস ত্যাগ করে। খবর পেয়ে গৌরনদী মডেল থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।
কলেজ ছাত্র সংসদের ক্রীড়া সম্পাদক আরিফ মিয়া’র অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে সরকারী গৌরনদী কলেজ ছাত্র সংসদের ভিপি সুমন মাহামুদ বলেন, ছাত্রলীগ কর্মী, হাসান মৃধার ওপর শুক্রবার রাতের হামলার ঘটনাটি সাজানো।
গৌরনদী মডেল থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) মোঃ আফজাল হোসেন জানান, ক্যাম্পাস ও আসপাশের এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি পুরোপুরি পুলিশের নিয়ন্ত্রনে আছে। এ ঘটনায় কোন পক্ষই থানায় অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যাবস্থা নেয়া হবে।