ইসির বক্তব্য শিষ্টাচার বিরোধী ও সংবিধান লঙ্ঘন: ওমর ফারুক

এস এম রহামান হান্নান, স্টাফ রিপোর্টার
যুবলীগ চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরী বলেছেন, ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) বিএনপির মুখপাত্রের মতো কথা বলেছেন। তিনি এমন বক্তব্য রেখেছেন যা অসাংবিধানিক এবং অসত্য। অবিলম্বে সিইসির বক্তব্য প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, এই বক্তব্যের কারণে তার নিরপেক্ষতা প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে।’
রোববার বিএনপির সঙ্গে সংলাপে প্রধান নির্বাচন কমিশনার জিয়াউর রহমানকে বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রতিষ্ঠাতা বলে উল্লেখ করেন। এর প্রতিবাদে সোমবার এক বিবৃতিতে যুবলীগ চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরী বলেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনার নিশ্চিত ভাবেই বিএনপিকে খুশি করতে এবং বিএনপির ‘আস্থা’ অর্জনের জন্য এমন অযাচিত, অপ্রাসঙ্গিক স্তুতি করেছেন। কিন্তু এই বক্তব্যের মধ্য দিয়ে তিনি শুধু মিথ্যাচার করেননি, ইতিহাস বিকৃতি এবং সংবিধান লঙ্ঘন করেছেন। অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য কোনো দলকে তৈলমর্দন জরুরি নয়। সিইসি যেসব বক্তব্য রেখেছেন সেগুলো আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সঙ্গে মোটেও সম্পর্কিত নয়। বাংলাদেশের সংস্কৃতি হলো, নিরপেক্ষতা প্রমাণের জন্য হয় আওয়ামী লীগকে গালি দিতে হবে অথবা বিএনপিকে প্রশংসা করতে হবে। এক শ্রেণির সুশীল পঁচাত্তরের ১৫ আগস্টের পর জাতির ওপর এই ভারসাম্য তত্ত্বের ভূত চাপিয়েছিল।
ওমর ফারুক বলেন, কিছু চেয়ারে এখনো পাকিস্তানি ভুতের আছড় রয়ে গেছে। ওই সব ‘মহান ব্যক্তিরা’ চেয়ারে বসে অনেক জ্ঞান বিবর্জিত কথা বলেন। চেয়ারলোভীরা নিজেকে ঈশ্বরের পরেই ক্ষমতাবান মনে করেন। আর তাঁর ক্ষমতা জাহির করার জন্য তিনি নিরপেক্ষতায় মুখোশ আঁঁটেন মুখে।
তখন তিনি নন, কথা বলে ‘ভূত’। নায়ক হবার জন্য ইতিহাস বিকৃতি এবং মিথ্যাচারের আশ্রয় নিয়ে নিজেই খলনায়কে পরিনত হন। আমাদের প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহাকে এক রকম ভূতে পেয়েছিল। এজন্য তিনি ষোড়শ সংশোধনীর রায়ে বলেছিলেন বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ কারও একক নেতৃত্বে হয়নি। এবার ভূতে পেয়েছে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদাকে। যুবলীগ চেয়ারম্যান প্রশ্ন তুলেন, জিয়া যদি বহুদলীয় গণতন্ত্রের পুন:প্রতিষ্ঠাতা হন তাহলে জাতির পিতা কি গণতন্ত্রের হত্যাকারী? হুদার মতে গণতন্ত্রের ঘাতক কে ছিলেন? বহুদলীয় গণতন্ত্র মানে কি তাহলে হ্যাঁ না ভোটের প্রহসন? বহুদলীয় গণতন্ত্র মানে স্বাধীনতা যুদ্ধে ঘাতক, লুটেরা, গণহত্যাকারীদের রাজনীতির অধিকার? বহুদলীয় গণতন্ত্র মানে ক্যান্টনমেন্টে রাজনৈতিক দলের জন্মগ্রহণ? বহুদলীয় গণতন্ত্র মানে সামরিক পোশাক পরে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল?