হাফেজ আব্দুল্লাহ আল মামুন আমাদের অহংকার

ডেস্ক রিােপর্ট
হাফেজ আব্দুল্লাহ আল মামুন। একজন কণ্ঠ যোদ্ধা। আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে বিশ্বের ৭৩টি দেশের প্রতিযোগীকে পেছনে ফেলে সে প্রথম স্থান অর্জন করেছে। এ দেশের পতাকাকে বিশ্ব দরবারে আবারও উজ্জ্বল করেছে। মামুন প্রমাণ করেছে, এ দেশের মানুষ কোরআন প্রেমী। এ দেশে কোরআন চর্চা হয়।
গত ৩ অক্টোবর সৌদি আরবে বাদশা আবদুল আজিজ আল সৌদ হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় হাফেজ আবদুল্লাহ আল মামুন ৩০ পারা গ্রুপে প্রথম স্থান অর্জন করে। প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছিল ৭৩টি দেশ। হাফেজ মামুন আন্তর্জাতিক পুরস্কারপ্রাপ্ত হাফেজ কারি নাজমুল হাসান প্রতিষ্ঠিত ঢাকার যাত্রাবাড়ীর তাহফিজুল কোরআন ওয়াসসুন্নাহ মাদরাসার ছাত্র। সে কুমিল্লার মুরাদনগরের হিরারকান্দা গ্রামের সৌদি প্রবাসী আবুল বাশারের ছেলে। ইতোপূর্বেও সে দেশ বিদেশের বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে প্রথম স্থান অধিকার করে। মিশরের রাজধানী কায়রোতে ৫৫টি দেশের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত ২৪তম আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করে প্রথম স্থান অর্জন করে। এছাড়াও হাফেজ মামুন ২০১৬ সালে দুবাইয়ে অনুষ্ঠিত ২০তম আন্তর্জাতিক কুরআন প্রতিযোগিতায় দ্বিতীয় এবং ২০১৪ সালের জুলাই মাসে সৌদি আরবের জেদ্দায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অর্জন করে। দেশের কোটি হৃদয়কে আলোকিত, অনুপ্রানিত ও উদ্বেলিত করে এবার মিশর জয় করে বিশ্বসেরা হাফেজ হলেন কুমিল্লা মুরাদনগর উপজেলার কৃর্তী সন্তান ক্ষুদে হাফেজ আব্দুল্লাহ আল মামুন। এতে তার এলাকার গ্রামের বাড়িতে আনন্দের বন্যা বইছে।
মিশরের রাজধানী কায়রোতে ৫৫টি দেশের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত ২৪তম আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করে দ্বিতীয় বারের মতো প্রথমস্থান অজর্ন করে লাল সবুজের পতাকে সমুন্নত করেছে ১২ বছর বয়সী হাফেজ আব্দুল্লাহ আাল মামুন।
উল্লেখ্য, হাফেজ আবদুল্লাহ আল মামুন ২০১৬ সালে দুবাইয়ে অনুষ্ঠিত ২০তম আন্তর্জাতিক কুরআন প্রতিযোগিতায় দ্বিতীয় এবং ২০১৪ সালের জুলাই মাসে সৌদি আরবের জেদ্দায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অর্জন করেছিল। এ দেশের ঘরে ঘরে এমন আবদুল্লাহ আল মামুনদের জন্ম হোক। এ দেশ বিশ্ব দরবারে আরও উজ্জ্বল হোক। শুভ কামনা ও ভালোবাসা মামুনের জন্য। মামুন, তুমি আমাদের গর্ব, তুমি আমাদের অহংকার।