চাকরি খোঁজার আগে ভালো বায়োডাটা বানানো খুব জরুরি। আর বায়োডেটা পাঠানোর ক্ষেত্রে কয়েকটি জরুরি বিষয়ে নজর দেওয়া দরকার প্রত্যেক প্রার্থীর। বায়োডেটায় ভুল থাকলে চাকরি হাতছাড়া হয়ে যেতেই পারে। বায়োডেটায় ছোটখাটো যে পাঁচটি ভুল থাকলে একজন প্রার্থীর চাকরি ‘নট’ হয়ে যেতে পারে, সেগুলোই একনজরে দেখে নেওয়া যাক—

১) বায়োডেটায় প্রার্থী যদি নিজের কর্মদক্ষতা ঠিকঠাক না-লেখেন, তাহলে সংশ্লিষ্ট সংস্থা তৎক্ষণাৎ সেই বায়োডেটা বাতিল করে দিতে পারে। কর্মদক্ষতা ভালো করে যাচাই করে তবেই তো একটি কোম্পানি বা সংশ্লিষ্ট সংস্থা প্রার্থীকে চাকরিতে নিয়োগ করে। তাই বায়োডেটায় পরিষ্কার করে নিজের কর্মদক্ষতার কথা লিখতে হবে। কোন কোন জায়গায় অতীতে কাজ করেছেন, কত বছর ধরে সেই সংস্থাগুলোয় কাজ করেছেন এবং কী কী দায়িত্ব পালন করে এসেছেন, সেগুলো অবশ্যই জানানো উচিত বায়োডেটায়। নইলে প্রার্থীর হাত থেকে বেরিয়ে যেতে পারে চাকরি।

২) শিক্ষাগত যোগ্যতার কথা যেন অস্পষ্ট ভাবে লেখা না থাকে। অনেক প্রার্থী বায়োডেটায় ঠিকঠাক ভাবে নিজের শিক্ষাগত যোগ্যতার কথা উল্লেখই করেন না। দায়সারা ভাবে লিখে দেন। এরকম ধরনের বায়োডেটা হাতে পেলে ম্যানেজেমন্ট সংশ্লিষ্ট প্রার্থীকে যোগ্য বলে মনেই করবে না। সুতরাং, নিজের ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত করতে, একটা ভালো চাকরি জোগাড় করতে হলে যে বায়োডেটা পাঠাবেন একজন প্রার্থী, সেখানে যেন পরিষ্কার করে তাঁর শিক্ষাগত যোগ্যতার উল্লেখ থাকে। স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম উল্লেখ করতে হবে। কোন ডিভিশনে পাশ করেছেন, সেই সব তথ্য যেন বায়োডেটায় পরিষ্কার করে উল্লেখ করা থাকে। শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে মিথ্যা বলা একেবারেই উচিত নয়।

৩) নিজের দক্ষতা নিয়ে অতিরঞ্জন না-করাই বাঞ্ছনীয়। বিভিন্ন বিষয়ে পারদর্শিতার কথা অনেক সময়েই বায়োডেটায় উল্লেখ করে থাকেন প্রার্থী। আর এ হেন বায়োডেটা চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে অন্তরায়ও বটে। বিভিন্ন বিষয়ে পারদর্শিতার উল্লেখ থাকলে ম্যানেজমেন্ট দ্বিধায় ভুগতে থাকে।

৪) এখন হোয়াটসঅ্যাপ, টুইটারের যুগ। খুব অল্প কথায় নিজের ভাব প্রকাশ করছে মানুষ। আর এটাই কিন্তু অভ্যাসে পরণিত হয়ে যাচ্ছে। বায়োডেটায় নিজের সম্পর্কে তথ্য লেখার ক্ষেত্রে সাবধানতা অবশ্যই অবলম্বন করা উচিত। কখনোই সংক্ষিপ্ত আকারে লেখা উচিত নয়। ধরা যাক, কোনও প্রার্থী লিখলেন, আমি কাজ করি ই-কম কোম্পানিতে। এরকম ধরনের তথ্য লেখা থাকলে কিন্তু বায়োডেটা বাতিল হয়ে যেতে পারে। ই-কম-এর পরিবর্তে লেখা উচিত ই-কমার্স। খুব ভারী ভারী শব্দ প্রয়োগ না করাই ভালো।

৫) বানান শুদ্ধ রাখা বাঞ্ছনীয়। বানান ভুল থাকলে প্রার্থী সম্পর্কে খারাপ মনোভাব পোষণ করে সংশ্লিষ্ট সংস্থা। তাই বানান শুদ্ধ হওয়াই কাম্য। নিজের সম্পর্কে প্রয়োজনীয় তথ্য বায়োডেটায় লেখার পরে দু-তিন বার তাতে চোখ বোলানো দরকার। ভুল চোখে পড়লে তা দ্রুত ঠিক করে ফেলতে হবে। বায়োডেটায় যেন বানান ভুল না-থাকে।