কাক, কিন্তু সে নাকি দেখতে গোরিলার মতো! আশ্চর্জন্তুর সন্ধান জাপানে

সবুজবাংলা ডেস্কঃ গোরিলা কাক নাকি সত্যিই চোখের ভ্রম। এই প্রশ্নেই সম্প্রতি তোলপাড় হয়েছিল সোশ্যাল মিডিয়া। জাপানের নাগোইয়ার গত ২০ তারিখ এই গোরিলা কাক, যাকে ক্রোইলা নামেই ডাকছেন নেটিজেনরা, তার সাত সেকেন্ডের ভিডিও ফুটেজ সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছিলেন কিটা সিম্পসন। ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে একটি দাঁড়কাক পার্কো নামে একটি বাড়ির সামনের চত্বরে বসে আছে। তার বসার ভঙ্গিমা দেখে মনে হচ্ছে কোনও বাচ্চা গোরিলা দুপায়ে ভর দিয়ে হাত দুটো সামনে রেখে বসে আছে। বলার অপেক্ষা রাখে না গত কয়েকদিনে ভিডিওটিতে ২৫ লক্ষ লাইক পড়েছে এবং দু’লক্ষ বার তা রিটুইট হয়েছে। অনেক নেটিজেনই প্রথমে ঘাবড়ে গিয়ে ভাবেন এটি কোনও ভিন্ন প্রজাতির প্রাণী। এমনকি কেউ কেউ এটাকে জম্বি বা ভুতুড়ে পাখি বলেও মনে করেন। কারণ কাকটির ডানা বা পা অদৃশ্য ছিল।
খবর পৌঁছয় ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের করভিড গবেষক বা প্রাণী গবেষক কাইলি সুইফ্ট–এর কানে। তিনি ভিডিও দেখে পরে টুইট করে জানান, পাখিটি কোনও ভুতুড়ে বা হাইব্রিড পাখি নয়। সাধারণ দাঁড়কাক। কাকটি ডানা ছড়িয়ে রোদ পোহাচ্ছিল। তাই তার ডানা বা পা দেখা যাচ্ছিল না। কাকের ডানা বা পা চলে গেলে সেটি আর উড়তে পারে ফলে খাবারও জোগার করতে পারে না। তাই ডানা–পা হীন কাক মানেই মরা কাক। কাঠফাটা গরমে কাকের রোদ পোহানো নিয়ে মানুষের কৌতুহলের অবসান করে কাইলি বলেছেন, অনেক সময়ই পালকের ভিতর জমে থাকা ব্যাক্টেরিয়া বা পোকামাকড় খতম করতে পাখিরা চড়া রোডে ডানা ছড়িয়ে রোদ পোহায়। এভাবে ডানা, লেজ ছড়িয়ে বসে থাকলে চড়া রোদের ছায়ায় অনেক সময়ই পাখির শরীরের কোনও অংশ অদৃশ্য হয়ে যেতে পারে। কাইলির মতে, সম্ভবত যখন সূর্যকিরণের কারণে মরীচিকা তৈরি হয়েছিল তখনই ছবিটা তোলা হয়েছিল। প্রথমে নেটিজেনরা পাখিটি দেখে অবাক হলেও পরে ভিডিওটা ভালো করে দেখে এবং কাইলির ব্যাখ্যা শুনে তাঁদের ভুল ভাঙে।
টাইমস্