কালের স্বাক্ষী গৌরনদীর আল্লাহর মসজিদ


মোঃ আহছান উল্লাহ,
ঢাকা-বরিশাল মহা সড়কের গৌরনদী সদর থেকে প্রায় ২ কিলোমিটার উত্তরে বড়কসবা গ্রামে কালের স্বাক্ষী হয়ে দাড়িয়ে রয়েছে আল্লাহর মসজিদ। এ মসজিদটি নির্মানকাল বা নির্মাতা সম্পর্কে সঠিক কিছু জানা যায়নি। আল্লাহর মসজিদটি বাগেরহাটের ন্যায় নয় গম্বুজ। বর্গাকারে নির্মিত এই মসজিদটির দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ ১১ দশমিক ৬৮ মিটার। দেয়ালগুলো ২ দশমিক ২৮ মিটার চওড়া। মসজিদের সম্মূখ ভাগে ফুল ও অন্যান্য নানান নকশায় অলঙ্কৃত করা। ৪ কোনে ৪ টি গোলাকার ট্যারেট আছে। ট্যারেটগুলোও কারুকার্য মন্ডিত । মসজিদটির উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট হল এর কার্নিজগুলো বর্গাকার। মসজিদটির পূর্ব উত্তর ও দক্ষিণ দেয়ালে প্রবেশ পথ রয়েছে। পশ্চিম দেয়ালে আছে ৩ টি মেহবার। প্রধান মেহরাবটি বড় ও সু-সজ্জিত। এ মসজিদটি দেখার জন্য প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে প্রতিদিন বহু দেশ বিদেশী পর্যটক আসেন।
কসবা গ্রামের হাবিব সরদার জানান ২৫/৩০ বছর আগে মসজিদটির নির্মাণ ও স্থাপত্য কৌশল পর্যবেক্ষণ করে পাকিস্থানের প্রন্ততাত্তিক বিষেশজ্ঞ ড.হাসানজানি মত প্রকাশ করেন এটা পঞ্চদশ শতাব্দীর মাঝামাঝি সময়ে নির্মিত। তিনি আরো জানান মসজিটি কয়েকবার সংস্কার করা হয়েছে সর্বশেষ ২০১২ সালে মসজিটি সংস্কার করায় এখন অনেক আকর্ষনীয় হয়েছে । বাংলাদেশের পর্যটন কর্পোরেশনের প্রন্ততাত্তিক নিদর্শন হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে একটি সাইনবোর্ড দেয়া হয়েছে।