আগৈলঝাড়ায় ইয়াবাসহ গ্রেফতারকৃত বিএনপি নেতার আদালতে স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি

0
(0)


আঞ্চলিক প্রতিনিধি,
আগৈলঝাড়ায় ১১শ পিচ ইয়াবাসহ গ্রেফতারকৃত এ্যাম্বুলেন্স চালক বিএনপি নেতা দুলু শরীফ মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে চাঞ্চল্যকর জবানবন্দি প্রদান করেছে ।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই তৈয়বুর রহমান জানান, আদালতের আদেশে ১১শ পিচ ইয়াবাসহ গ্রেফতারকৃত দুলু শরীফকে তিন দিনের রিমান্ড শেষে বৃহস্পতিবার (২৭জুন) আদালতে হাজির করা হয়।
ওই দিন শেষ বিকেলে বরিশাল সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট ১ম বিচার আদালতের বিজ্ঞ বিচারক মওদুদ হোসেনের কাছে দুলু শরীফ ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে নিজের অপরাধ ও আগৈলঝাড়া গৌরনদীসহ পাশ্ববর্তি উপজেলাগুলোতে ডিলার হিসেবে পাইকারী মাদক বিক্রির চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রদান করেছে।
আদালতের বিজ্ঞ বিচারকের কাছে গৌরনদী উপজেলার টরকী বন্দর সংলগ্ন সুন্দরদী মহল্লার মৃত ইউনুস শরীফের ছেলে গৌরনদী পৌর বিএনপি’র সাবেক নেতা দুলু শরীফ (৩৬) দীর্ঘ দিন যাবত ঢাকায় বসবাস করে রোগী বহনের নামে এ্যাম্বুলেন্স চালক হিসেবে অভিনব কায়দায় সহযোগীদের নিয়ে মাদক ব্যবসা করার চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রদান করে। বিচারকের খাস কামরায় বসে দুলু শরীফ নিজেকে মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত থাকার পাশাপাশি তার ঘনিষ্ট সহযোগী তার একই গ্রামের গোলাম কিবরিয়ার ছেলে দু’টি ডাকাতি মামলার আসামী নান্নু মৃধা (৩২) ও মজিদ হাওলাদারের ছেলে ফয়সাল হাওলাদারের (পলাতক) মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত থাকার কথা অকপটে স্বীকার করে। জবানবন্দি গ্রহন শেষে বিজ্ঞ বিচারক মওদুদ হোসেন দুলু শরীফকে জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ প্রদান করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আরও জানান, আদালতে জবানবন্দি প্রদানের আগে থানায় তিন দিনের পুলিশী জিজ্ঞাসাবাদে দুলু শরীফ বিভিন্ন এলাকায় তার সাথে প্রভাবশালী ব্যাক্তিসহ খুচরা মাদক বব্যবসায় জড়িত থাকার অনেকের নাম প্রকাশ করে। তদন্তের স্বার্থে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তাদের নাম প্রকাশ করেন নি।
আগৈলঝাড়া থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আফজাল হোসেন জানান, মাদক ব্যবসায়িদের আদালতে স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি প্রদান বিরল ঘটনা। তিন বলেন, ১৮জুন রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলার উত্তর সীমান্ত এলাকা মাগুরা চৌরাস্তায় অভিযান চালিয়ে দুলাল শরীফ ওরফে দুলু (৩৬)কে ১১শ পিচ ইয়াসহ পুলিশ আটক করে। আটক দুলালের ভাষ্য মতে, তার সাথে থাকা নান্নু মৃধা (৩২) ও ফয়সাল হাওলাদারের নাম প্রকাশ করে। এ ঘটনায় এসআই জসিম উদ্দিন বাদী হয়ে দুলালসহ পালিয়ে যাওয়া তার ভাষ্য দেয়া অপর দুই সহযোগীকে আসামী করে ১৮জুন রাতেই থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার পালিয়ে যাওয়া এজাহারভুক্ত আসামী গৌরনদী উপজেলার টরকী বন্দর সংলগ্ন সুন্দরদী মহল্লার গোলাম কিবরিয়ার ছেলে ও দু’টি ডাকাতি মামলার আসামী নান্নু মৃধা (৩২)কে ২২জুন রাতে অভিযান চালিয়ে দাসেরহাট এলাকা থেকে তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই তৈয়বুর রহমান গ্রেফতার করে। ওই মামলার এজাহারভুক্ত অপর পলাতক আসামী গৌরনদীর সুন্দরদী মহল্লার আজিজ হাওলাদারের ছেলে ফয়সাল হাওলাদারকে গ্রেফতারে জোর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলেও জানান ওসি আফজাল হাসেন।

How useful was this post?

Click on a star to rate it!

Average rating 0 / 5. Vote count: 0

No votes so far! Be the first to rate this post.