উত্তর কোরিয়ার  উনের  সৎ ভাই আমেরিকার চর ছিলেন

সবুজবাংলা ডেস্ক: ২০১৭ সালে মালয়েশিয়ায় মারা যান উত্তর কোরিয়ার একনায়ক কিম জং উনের ভাই কিম জং নাম। দু’বছর বাদে আমেরিকার বিখ্যাত সংবাদপত্র ‘ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল’-এ প্রকাশিত হয়েছে, নিহত কিম জং নাম গোপনে সিআইএ-কে খবর দিতেন। যদিও আমেরিকার গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ-র সঙ্গে তিনি কবে থেকে সম্পর্ক রাখতেন, তা জানানো হয়নি।

‘নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক’ এক ব্যক্তিকে উদ্ধৃত করে ওয়াল স্ট্রিট জার্নালে লেখা হয়েছে, সিআইএ-র সঙ্গে কিম জং নামের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল। তিনি অবশ্য বহুদিন ধরেই উত্তর কোরিয়ার বাইরে থাকতেন। পিয়ং ইয়ং-এ তাঁর ঘনিষ্ঠ কেউ ছিল বলে জানা যায়নি। এখানে প্রশ্ন উঠেছে, তিনি সিআইএ-কে কীভাবে গোপন খবর সরবরাহ করতেন?

আমেরিকার প্রাক্তন সেনাকর্তাদের অনেকে বলেছেন, কিম জং নামের সঙ্গে বিভিন্ন দেশের গোয়েন্দা সংস্থার যোগাযোগ ছিল। তিনি চিনের গোয়েন্দাদের সঙ্গেও সম্পর্ক রেখে চলতেন। আমেরিকা ও দক্ষিণ কোরিয়া থেকে অভিযোগ করা হয়, একনায়ক কিম জং উনই তাঁর সৎ ভাইকে খুন করিয়েছেন। যদিও পিয়ং ইয়ং থেকে এই অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।

২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে কুয়ালালামপুর বিমান বন্দরে কিম জং নাম খুন হয়েছিলেন। দুই মহিলা নাকি তাঁর মুখে ভিএক্স নামে এক বিষাক্ত তরল মাখিয়ে দিয়েছিলেন। তাতেই একনায়কের সৎ ভাই মারা যান। দুই মহিলার একজন ভিয়েতনামের নাগরিক। নাম দোয়ান থি হুয়াং। অপরজন ইন্দোনেশিয়ার নাগরিক। তাঁর নাম সিতি আসিয়া। কিম জং নাম মারা যাওয়ার পরে দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। গত মার্চে মালয়েশিয়ার সরকার তাঁদের মুক্তি দিয়েছে।

ওয়াল স্ট্রিট জার্নালে লেখা হয়েছে, ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে কিম জং নাম মালয়েশিয়া গিয়েছিলেন। সেখানে সিআইএ-র এক কনট্যাক্টের সঙ্গে তাঁর দেখা করার কথা ছিল। এছাড়া আরও একজনের সঙ্গে সম্ভবত তিনি দেখা করতে চেয়েছিলেন।

ইতিমধ্যে একনায়ক কিম জং উনের সঙ্গে দু’বার দেখা করেছেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। প্রথমবার তাঁরা বৈঠক করেন গত বছর জুন মাসে। সিঙ্গাপুরে দু’জনে বসেছিলেন। গত ফেব্রুয়ারিতে ফের বৈঠক করেন ভিয়েতনামের হ্যানয়ে। যদিও দু’টি বৈঠকে আমেরিকা ও উত্তর কোরিয়া কোনও সমঝোতায় পৌঁছতে পারেনি। সৌজন্যে দ্যা ওয়াল ব্যুড়ো