নাসাকে ট্রাম্পের ধমক

সবুজবাংলা ডেস্ক: ২০২৪ সালে ফের চাঁদে মানুষ পাঠানোর তোড়জোড় করছে নাসা। সেকথা জানতে পেরে তাদের কড়া ধমক দিলেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। মহাকাশ বিজ্ঞানীদের প্রতি তাঁর পরামর্শ, আরও বড় কিছুর পরিকল্পনা করুন। চাঁদে না গিয়ে বরং মঙ্গলগ্রহে যাওয়ার কথা ভাবুন। আগে আমেরিকার প্রশাসন ঠিক করেছিল, চন্দ্র অভিযানে নাসাকে সাহায্য করা হবে। ট্রাম্প সেই সাহায্যের পরিমাণও কমিয়ে দিয়েছেন।
তাঁর কথায়, আমরা বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয় করছি। কিন্তু নাসা শুধু চাঁদে যাওয়ার কথা বলছে। আমরা তো ৫০ বছর আগেই চাঁদে পৌঁছে গিয়েছি। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট টুইটারে লিখেছেন, নাসার উচিত বড় কোনও পরিকল্পনা করা। মঙ্গল গ্রহে অভিযান, প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে নতুন নতুন আবিষ্কার, এসবের প্রতি তাদের মনোযোগ দেওয়া উচিত।
ট্রাম্প সম্প্রতি ইউরোপ সফরে গিয়েছিলেন। ফেরার পথে বিমান থেকেই টুইট করে নাসাকে ধমক দিয়েছেন। এই টুইট দেখে অবাক হয়েছেন অনেকে। কারণ ট্রাম্পের প্রশাসন আগে চন্দ্রাভিযান প্রকল্পে উৎসাহ দেখিয়েছিল। প্রথমে স্থির হয়েছিল, ২০২৮ সালে চাঁদে মহাকাশচারী পাঠানো হবে। পরে স্থির হয়, আরও আগে, ২০২৪ সালেই চাঁদে ফের পা পড়বে মানুষের। সেজন্য প্রশাসন সবরকম চেষ্টা করবে।
নাসা পরিকল্পনা করেছে, চাঁদের কক্ষপথে একটি উপগ্রহ স্থাপন করবে। তা ব্যবহৃত হবে স্পেস আউটপোস্ট হিসাবে। সেখান থেকে মহাকাশচারীদের চন্দ্রপৃষ্ঠে পাঠানো হবে। ২০২৪ সালে মানুষ যদি চাঁদে পৌঁছতে পারে, পরে চাঁদকে ঘাঁটি হিসাবে ব্যবহার করে মঙ্গলে যাবে মহাকাশযান।
এর আগে চন্দ্রাভিযান চার বছর এগিয়ে আনার জন্য ট্রাম্প প্রশাসনকে ঝামেলায় পড়তে হয়েছিল। ২০২৮ সালের বদলে ২০২৪ সালে চাঁদে মানুষ পাঠানোর জন্য ২০২০-র বাজেটে নাসাকে বাড়তি দিতে হচ্ছে ১৬০ কোটি ডলার। সেজন্য কংগ্রেসকে রাজি করানো মোটেই সহজ হয়নি প্রশাসনের পক্ষে।
শুক্রবার নাসা টুইটারে বলেছে, আমাদের চন্দ্রাভিযানের পরিকল্পনার নাম আর্টেমিস। ২০২৪ সালে আমরা পুরুষ মহাকাশচারীর সঙ্গে এক মহিলা মহাকাশচারীকেও চাঁদে পাঠাব। ২০২৮ সালের মধ্যে চাঁদে মানুষের বসবাসের ব্যবস্থা করে ফেলা যাবে। গ্রিক পুরাণ অনুযায়ী, চাঁদের দেবীর নাম আর্টেমিস। তিনি অ্যাপোলো দেবতার বোন। ৫০ বছর আগে নাসার চন্দ্রাভিযানের নাম ছিল অ্যাপোলো। তার সঙ্গে মিল রেখে এবার চন্দ্রাভিযানের নাম দেওয়া হয়েছে অ্যাপোলোর বোনের নামে। সৌজন্যে দি ওয়াল ব্যুড়ো