স্বামীকে গুলি করে মারার ঘটনায় সাক্ষী টিয়া পাখি

0
(0)

স্বামীকে পাঁচবার গুলি করে মেরে ফেলার অভিযোগে আমেরিকার মিশিগান অঙ্গরাজ্যে এক মহিলা দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন – যে ঘটনার সাক্ষী থেকে গিয়েছিল তাদের পোষা টিয়া পাখি।

২০১৫ সালে গ্লেনা ডুরাম তাদের পোষা টিয়া পাখির সামনেই গুলি করে স্বামী মার্টিনকে মেরে ফেলেন – তারপর বন্দুকের নল নিজের দিকে ঘুরিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন।

কিন্তু পরে ওই টিয়া পাখিটি মার্টিনের গলা নকল করে বলতে থাকে ‘ডোন্ট শ্যুট’, জানিয়েছেন মার্টিনের সাবেক স্ত্রী।

আদালতে এই হত্যা মামলার শুনানির শেষে জুরি ৪৯ বছর বয়সী মিসেস ডুরামকে ফার্স্ট ডিগ্রি মার্ডারের অপরাধে দোষী সাব্যস্ত করেছে। আগামী মাসে তার সাজা ঘোষণা করা হবে।

২০১৫ সালের মে মাসে ডুরাম দম্পতির স্যান্ড লেকের বাড়িতে ওই হত্যার ঘটনা ঘটেছিল। গ্লেনা ডুরাম নিজে ওই ঘটনায় মাথায় আঘাত পেলেও বেঁচে যান।

এই হত্যা মামলার শুনানিতে যখন সাক্ষ্যপ্রমাণ পেশ করা হচ্ছিল, তখন অভিযুক্ত গ্লেনা ডুরাম যে রকম ‘অনুতাপহীন’ অবস্থায় বসেছিলেন, তা তাকে ব্যথিত করেছে বলে জানিয়েছেন নিহত মার্টিন ডুরামের মা লিলিয়ান.

ডুরাম দম্পতির পোষা টিয়া পাখিটি এখন রয়েছে মার্টিনের সাবেক স্ত্রী ক্রিস্টিয়ানা কেলারের কাছে। এই টিয়াটি ছিল আফ্রিকান গ্রে প্রজাতির।

তিনি এর আগে জানান, টিয়াটি এমন কিছু কথাবার্তা বলছিল – যা থেকে মনে হচ্ছিল সে যেন ওই হত্যার রাতের কথাবার্তাই পুনরাবৃত্তি করছে। আর সেটা শেষ হচ্ছিল ‘ডোন্ট শ্যুট’ দিয়ে।

মি. ডুরামের বাবা-মাও মনে করছেন, এটা খুবই সম্ভব যে বাচাল টিয়া পাখিটি হত্যার রাতে ডুরাম দম্পতির ঝগড়া শুনেছিল আর তারপর সে তাদের বলা কথাবার্তাই বলছে।

তারা স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, টিয়া পাখিটি যা শুনত সেটা অক্ষরে অক্ষরে মনে রাখতে পারত। হতে পারে সে রাতে টিয়াটি দু’জনের সব কথাবার্তাই শুনেছিল।

মিশিগান অঙ্গরাজ্যের একজন কৌঁসুলি প্রথমে এই টিয়ার আওয়াজকে আদালতে প্রমাণ হিসেবে পেশ করার কথাও ভেবেছিলেন। কিন্তু পরে অবশ্য সে ভাবনা আর কার্যকর করা হযনি।

How useful was this post?

Click on a star to rate it!

Average rating 0 / 5. Vote count: 0

No votes so far! Be the first to rate this post.