স্বরূপকাঠিতে ঝুকিপূর্ন ভবনের উপর ফ্লোর নির্মান জনগন শংকিত

হযরত আলী হিরু, পিরোজপুর প্রতিনিধি ॥
পিরোজপুরের স্বরূপকাঠির ইন্দুরহাট বন্দরে ঝুকিপূর্ন ভবনের ওপর নির্মান করা হয়েছে আর একটি ফ্লোর। বন্দর কমিটির সভাপতি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের নির্দেশ অমান্য করে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন ভবন মালিকরা। ইন্দুরহাট ব্রিজ সংলগ্ন মূল সড়কের সাথে ওই ভবনটি। যে কোন সময় বিধ্বস্ত হয়ে বড় ধরনের দুর্ঘটনার সৃষ্টি করতে পারে বলে আশংকা এলাকাবাসীর।
সরে জমিনে জানাগেছে, পাকিস্তান আমলে প্রয়াত গজানন সমদ্দার ওই ভবনটি নির্মান করেন। স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় পাকবাহিনী ইন্দুরহাট ও মিয়ারহাট বন্দর পুড়িয়ে দিলে ওই ভবনও পুড়ে যায়। স্বাধীনতার পরে ওই ভবনের কিছু অংশ ভেঙে নতুন করে ভবনটি পুনঃ নির্মান করা হয়। তার বংশধররা এর অর্ধেক অংশ জাকির ফরাজির কাছে বিক্রি করেদেন। বাকি অংশে বর্তমানে গজানন সমদ্দারের নাতি তাপস সমদ্দার মালিক রয়েছেন। ভবনটির পিলারগুলো নষ্ট হয়ে গেলে জাকির ফরাজী তার অংশের গুলো মেরামত করেন। তাপস সমদ্দারে অংশে একই অবস্থায় থাকে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই ভবনের একাধিক ব্যবসায়ী জানান, গোটা ভবনের ছাদের নিচ থেকে কংক্রিট ভেঙে পড়ে বিভিন্ন সময় নানা সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। সম্প্রতি তারা ভবনটির মাঝখান থেকে একটি সিড়ি করে নষ্ট হয়ে যাওয়া ছাদের উপরে আর একটি ফ্লোর নির্মান করা শুরু করে। এসময় বন্দর কমিটি তাতে বাধা দিলে তা না মেনে কাজ চালিয়ে যায়। ছাদের ওপর আরও একটি ফ্লোর নির্মান করে টিনের ছাউনি দেয়া হয়েছে। ভিমের কংক্রিট ফেঁটে গেলে তা রশি দিয়ে দীর্ঘ দিন বেধে রাখা হয়। ছাদের কংক্রিট পড়ে বেরিয়ে যাওয়া রড নতুন করে পলেস্তারা দিয়ে ঢেকে রং করে দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় লোকজন বলেছেন, ভবনটি দীর্ঘ দিন ধরে জনাজীর্ন। জানমাল রক্ষার্থে যেখানে ভবনটিই ভেঙে ফেলা প্রয়োজন সেখানে এটাকে দোতলা করা এক কথায় দুঃসাহসই বলা চলে। এ বিষয়ে তাপস সমদ্দারের সাথে কথা বলার জন্য চেষ্টা করে তাকে পাওয়া যায়নি। অপর মালিক জাকির ফরাজী বলেন ভবনের ছাদটি নষ্ট হয়ে পানি পড়ে সব কিছু ভিজে যায়। তাই উপরে একটি টিন শেড করা হয়েছে। জোর দিয়ে বলেন ইঞ্জিনিয়ারের মতামত নিয়ে কাজ করেছেন। তিনি বলেন পাবেল ইঞ্জিনিয়ার ও বাচ্চু ইঞ্জিনিয়ারের পরামর্শ নিয়েছেন। কোন বিভাগের ইঞ্জিনিয়ার জিজ্ঞাসা করায় বলেন এখানের ইঞ্জিনিয়ার। এ বিষয়ে বন্দর কমিটির সভাপতি সোহাগদল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আব্দুর রশিদের সাথে কথা বললে তিনি জানান বার বার নিষেধ করা সত্বেও তারা তাতে কর্নপাত না করে কাজ করছে। এ বিষয়ে ইউএনও সরকার আব্দুল্লাহ আল মামুন বাবুর সাথে কথা বললে তিনি বলেন, এ বিষয়ে কেউ এখনো তাকে কিছুই জানাননি। তিনি দ্রুত সময়ের মধ্যেই আইনানুগ ব্যবস্থা নিবেন বলে জানান।