আন্তর্জাতিক গণ-আদালতে দোষী মিয়ানমার সরকার

এস এম রহামান হান্নান, স্টাফ রিপোর্টার
মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের ওপর গণহত্যা ও অত্যাচার চালানোর দায়ে আন্তর্জাতিক গণ-আদালত দেশটির সরকারকে দায়ী করেছেন। প্রত্যক্ষদর্শীর জবানবন্দি, বিভিন্ন প্রামাণ্য দলিল ও সাক্ষ্য গ্রহণের ভিত্তিতে শুক্রবার দুপুরে মালয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের মিলনায়তনে জনাকীর্ণ আদালতে এ রায় ঘোষণা করা হয়। ইউনিভার্সিটি মালয়া লিগাল ফ্যাকালটি মুট কোর্টে পাঁচদিনের শুনানি শেষে ট্রাইব্যুনালের প্রধান বিচারপতি ড্যানিয়েল ফিয়েরস্টেইন ওই রায় ঘোষণা করেন।
ওই বিচারক প্যানেলের সভাপতি ইন্টারন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন অব জেনোসাইড স্কলারসের সাবেক প্রেসিডেন্ট আর্জেন্টিনার দানিয়েল ফিয়েরেস্তেইন। অন্যরা হলেন- মালয়েশিয়ার জুলাইহা ইসমাইল, কম্বোডিয়ার আইনবিদ হেলেন জার্ভিস, অস্ট্রেলিয়ার সিডনির মেকুইয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের সাবেক প্রধান জিল এইচ বোয়েরিঙ্গার, ইন্দোনেশিয়ার মানবাধিকার আইনজীবী নুরসিয়াবানি কাতজাসুংকানা, ইরানের মানবাধিকার আইনজীবী সাদি সদর ও ইতালির সুপ্রিম কোর্ট অব ক্যাসেসনের বর্তমান সলিসিটর জেনারেল নিলো রেসি।
অন্তত ৩০ পৃষ্ঠা দীর্ঘ প্রাথমিক রায়ের বিভিন্ন অংশ ট্রাইব্যুনালের সাতজন বিচারক ভাগ করে পাঠ করেন। রায়ের কার্যকর অংশ পাঠ করেন অস্ট্রেলীয় বিচারক জিল এইচ বোয়েরিঙ্গার। সর্বসম্মতিক্রমে দেয়া এই রায়ে ১৭টি সুপারিশ করা হয়েছে। এতে মিয়ানমারের ওপর অবিলম্বে অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা জারি, মানবতাবিরোধী অপরাধের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট মিয়ানমারের সরকারি পদে থাকা ব্যক্তিদের বিদেশে থাকা ব্যাংক হিসাব বাজেয়াপ্ত, মিয়ানমারের বাইরে ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা জারি করতে আন্তর্জাতিক এবং আঞ্চলিক প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।
সুপারিশ ঘোষণাকারী গিল এইচ. বোয়েরিঙ্গার বলেন, মুসলিম সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে সহিংসতা বন্ধ করতে হবে। ওই অঞ্চলে অনুসন্ধানের জন্য জাতিসংঘের তথ্য অনুসন্ধান দলকে অবশ্যই ভিসা এবং সহজে প্রবেশাধিকার দিতে হবে।
তিনি আরো বলেন, মিয়ানমার সরকারকে অবশ্যই তাদের সংবিধান এবং নিপীড়িত সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রতি বৈষম্যমূলক আইনের সংস্কার করতে হবে। এই জনগোষ্ঠীকে তাদের অধিকার ও নাগরিকত্ব দিতে হবে।