উল্লাপাড়ায় গম চাষে লক্ষ্যমাত্রা পুরণ হয়নি, বেশি হয়েছে ইরি বোরো

সাহারুল হক সাচ্চু: সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় এবারের মওসুমেও গম চাষের সরকারী লক্ষ্যমাত্রা পুরণ হয়নি। গত মওসুমেও লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে কম পরিমান জমিতে এ ফসলের আবাদ হয়েছিল। অপরদিকে এবারের ইরি বোরা ধান লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি পরিমান জমিতে আবাদ হয়েছে। কৃষকদের আগ্রহে ফসল দু’টির আবাদ এমন কম বেশি পরিমান জমিতে হয়েছে। উল্লাপাড়া উপজেলায় এখন মাঠের পর মাঠ জুড়ে ইরি বোরো ধান ফসল। স্থানীয় কৃষি অফিস সুত্রে, উপজেলায় এবারের মওসুমে ইরি বোরো ধান চাষের সরকারী লক্ষ্যমাত্রা ছিলো ২৯ হাজার ২শ ৫০ হেক্টর। সেখানে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৮শ ৮০ হেক্টর বেশি পরিমান জমিতে ইরি বোরো ধানের আবাদ হয়েছে। যার পরিমাণ ৩০ হাজার ১শ ৩০ হেক্টর। এদিকে গম চাষের সরকারী লক্ষ্যমাত্রা ছিলো ৩শ ৫০ হেক্টর। আবাদ হয়েছে ৩শ হেক্টরে। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৫০ হেক্টর কম জমিতে আবাদ হয়েছে। গত বছর গম চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছিলো ৩শ ৭৫ হেক্টর। সে লক্ষ্যমাত্রা পুরণ হয়নি বলে জানা যায়। বিভিন্ন মাঠের গম ফসল কাটা প্রায় শেষ হয়ে এসেছে। স্থানীয় কৃষি অফিস ও কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, গম ফসল কাটার পর সে সব জমিতে তারা পাট চাষ করবেন। এরই মধ্যে কৃষকেরা পাট বীজ বুনতে শুরু করেছেন বলে জানা যায়। উল্লাপাড়ায় এবারের মওসুমে পাট চাষের সরকারী লক্ষ্যমাত্রা ধরা আছে ১ হাজার ১শ ৫০ হেক্টর। উপজেলা সিনিয়র কৃষি অফিসার মোঃ খিজির হোসেন প্রামানিক জানান, গমের প্রধান ক্ষতিকর হলো ব্লাষ্ট রোগ। এবারে ভালো হারে গমের ফলন মিলেছে। গম ফসলের আবাদে মাঠ পর্যায়ে এলাকার কৃষকদেরকে উৎসাহ দেওয়া হয়ে থাকে। এদিকে উল্লাপাড়ার কৃষকেরা ইরি বোরো ধান চাষে বেশি ঝুকেছেন। কৃষকেরা এখন বেশি হারে ফলনশীল হাইব্রিডসহ দেশীয় বিভিন্ন জাতের ইরি বোরো ধান ফসলের আবাদ বেশি পরিমান করছেন। এর মধ্যে ব্রি-২৯ জাতের ধান বেশি আবাদ হয়েছে। কৃষি অফিস থেকে মাঠ পর্যায়ে কৃষকদেরকে বেশি হারে ফলনশীল ইরি বোরো ধান চাষে উৎসাহ ও পরামর্শ দেওয়া হয়।