গৌরনদীতে পাগলা কুকুরের কামড়ে একদিনে নারী ও শিশুসহ আহত ১৯

গৌরনদী প্রতিনিধি
গত শনিবার সকালে বরিশালের গৌরনদী উপজেলা সদরের বিভিন্ন স্থানে পাগলা কুকুরের কামড়ে নারী ও শিশুসহ অন্তত ১৯ জন আহত হয়েছে। আহতদেরকে গৌরনদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও আহত সূত্রে জানাগেছে, গতকাল শনিবার সকাল ৮টার দিকে একটি বেওয়ারিশ পাগলা কুকুর উপজেলা সদরের কসবা ফকির বাড়ির সামনে বসে ধাওয়া করে অজ্ঞাতনামা তিনজন পথচারীকে কামড়ে দেয়। এর পর পাগলা কুকুরটি দৌড়ে পার্শ্ববর্তি দক্ষিন পালরদী গ্রামে ঢুকে পড়ে। এরপর ওই গ্রামের একজন কাঠ মিস্ত্রির মেয়ে (৫)কে কামড়ে দিয়ে কুকুরটি গৌরনদী বন্দরের ভেতরে ঢুকে পড়ে। সেখানে লোকজনের তাড়া খেয়ে কুকুরটি পার্শ্ববর্তি চরগাঁধাতলী গ্রামে ঢুকে পড়ে। এরপর ওই গ্রামের এক বৃদ্ধ নারী ও এক শিশুকে কামড়ে দিয়ে গৌরনদী গালস স্কুল এন্ড কলেজের গেটে এসে এক ছাত্রীকে কামড়ে দেয়। সেখান থেকে পরে স্থানীয় লোকজনের তাড়া খেয়ে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে কুকুরটি দৌড়ে দক্ষিন বিজয়পুর গ্রামের ভেতর দিয়ে উপজেলার বিল্বগ্রাম গ্রামের দিকে পালিয়ে যায়।
গৌরনদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানাগেছে, গতকাল সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত ৬ ঘন্টার ভেতরে নারী ও শিশুসহ সর্বমোট ১৮জন লোক কুকুরের কামড়ের প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছে। এরা হলেন, সুমাইয়া (২২), সাইফুল ইসলাম (২৮), সুনীল মাঝি (৫০), এনামুল হক (১৮), নাদিয়া (১৪), মিরাজ (৭), রহিমা বেগম (৬২), হামিদা বেগম (৫৫), শিউলী (৩০), অপু (১৮), রুমা (২৫), সালাম (৪০), রুমা (৩০) আনোয়ার হোসেন (৫০), শাওন (১২), নুর হোসেন (৭), সুমাইয়া (১২), সাকিব (১৮), নরেন্দ্রনাথ (৭০)। লোকমুখে পাগলা কুকুরের এ আক্রমনের ঘটনা এলাকায় জানাজানি হলে এলাকাবাসীর মধ্যে কুকুর আতংক ছড়িয়ে পড়ে। পাগলা কুকুর নিধনে এলাকাবাসী স্থানীয় প্রশাসনের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছে।
গৌরনদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর জরুরী বিভাগে কর্মরত মেডিকেল অফিসার ডাঃ মাজেদুল হক কাওছার জানান, আমাদের স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কুকুরের কামড়ের কোন ইনজেকশন বা ভেকসিনের সরবরাহ নেই। আমরা শুধু কুকুরের আক্রমনের শিকার রোগীদের ক্ষতস্থান পরিস্কার করে ব্যান্ডেজ করে দিয়েছি এবং তাদেরকে ভেকসিন নেয়ার ব্যাবস্থাপত্র দিয়ে ছেড়ে দিয়েছি।