কমলগঞ্জে বাল্য বিয়ে বন্ধ ॥ আটক-৩

কমলগঞ্জ প্রতিনিধি
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার কমলগঞ্জ সদর ইউনিয়নে নির্বাহী কর্মকর্তার হস্তক্ষেপে বাল্য বিয়ে থেকে রক্ষা পেল এক কিশোরী। এ ঘটনায় নির্বাহী কর্মকর্তা তিনজনকে আটক করে থানায় সর্পদ করেন। গতকাল (২৫ সেপ্টেম্বর) সোমবার বেলা আড়াইটায় উপজেলার সদর ইউনিয়নের বাদে উবাহাটা গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে।
জানা যায়, সদর ইউনিয়নের বাদে উবাহাটা গ্রামের আব্দুল বাছিতের মেয়ে মাদ্রাসা ছাত্রী মোছা: শারমীন বেগমের (১৩) ও একই গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে জহির আলম (২৮)এর সাথে বিয়ে ঠিক হয়। দুই পরিবারের সম্মতিক্রমেই বিয়ের দিন ধার্য করে সকল প্রকার আনুষ্ঠানিকতার সম্পন্ন করা হয়। কনে স্থানীয় একটি মাদ্রাসার কিশোরী ছাত্রী বলে ভূয়া জন্ম নিবন্ধনে বয়স বাড়িয়ে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ১৯ বছর উল্লেখ করে একটি কার্ড তৈরী করা হয়।
এ ঘটনার খবর পেয়ে কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা(ইউএনও) মোহাম্মদ মাহমুদুল হক পুলিশের একটি দল নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে বিয়ে আয়োজন বন্ধ করেন। পরে বর, কনে, ও বর কনের বাবাকে জিজ্ঞাসাবাদকালে বেরিয়ে আসে আসল তথ্য। পরে কিশোরীকে বাদ তার বাবা আব্দুল বাছিত, বর জহির আলম ও তার বাবা আবুল হোসেনকে আটক করে কমলগঞ্জ থানায় প্রেরণ করেন।
কমলগঞ্জ সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল হান্নান ইউএনওর হস্তক্ষেপে বাল্য বিবাহ বন্ধ ও তিনজনকে আটকের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, কিভাবে বয়স বাড়িয়ে জন্ম নিববন্ধন কার্ড করা হলো তা তিনি বুঝতে পারছেন না বলে জানান। তবে বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন।
কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাহমুদুল হক বাল্য বিবাহ প্রতিরোধ ও এ ঘটনায় বরসহ তিনজনকে আটকের সত্যতা নিশ্চিত করেন।