মঠবাড়িয়ায় স্কুলছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেপ্তার ইসমাইলের স্বীকারোক্তি

হযরত আলী হিরু, পিরোজপুর প্রতিনিধি ॥পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলায় এক স্কুলছাত্রীকে (১৫) পালাক্রমে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার ইসমাইল হোসেন (২০) আদালতে স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দী দিয়েছেন। গতকাল রোববার বিকেলে মঠবাড়িয়া জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতের বিচারক কাছে ইসমাইল হোসেন জবানবন্দী দেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মঠবাড়িয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাজহারুল আমিন জানান, গতকাল রোববার বিকেলে ইসমাইল হোসেন মঠবাড়িয়া জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতের বিচারকের কাছে ধর্ষনের কথা স্বীকার করে জবানবন্দী দেন। ইসমাইল জবানবন্দীতে বলেন, ওই স্কুলছাত্রীর সঙ্গে সাইফুল ইসলামের প্রেমের সম্পর্ক ছিলে। সম্প্রতি তাদের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি হয়। এরপর সাইফুল তাঁর বন্ধু ইসমাইল, নাজমুল ও শাওনকে নিয়ে পরিলল্পনা করেন মেয়েটিকে ডেকে এনে কথা বলার জন্য। পরিকল্পনা অনুযায়ী সাইফুল মেয়েটিকে ফোন করে দেখা করতে বলেন। মেয়েটি ৩০ নভেম্বর দুপুরে দেখা করার সময় দেয়। ওই দিন দুপুরে সাইফুল মেয়েটিকে নাজমুলের ঘরে ডেকে নিয়ে যান। এসময় ওই ঘরে নাজমুল একা ছিলেন। এরপর সাইফুল ফোন করে ইসমাইল ও শানকে ডেকে নেন। নাজমুল ঘরের পিছনের দরজা দিয়ে ইসমাইল ও শাওনকে ঘরে ঢুকান। এরপর চার বন্ধু মিলে মেয়েটিকে জোর করে ধর্ষণ করেন এবং মুঠোফোনে ধর্ষণের চিত্র ধারণ করেন। গত শুক্রবার দুপুরে ওই স্কুলছাত্রীর মা বাদী হয়ে চার জনকে আসামি করে স্থানীয় থানায় মামলাটি করেন। এ ঘটনায় পুলিশ ইসমাইল হোসেনকে গ্রেপ্তার করেছে। ইসমাইল হোসেনের বাড়ি উপজেলার অহেদাবাদ গ্রামে। মঠবাড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওসি এম আর শওকত আনোয়ার ইসলাম বলেন, অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশ তৎপর রয়েছে।