কমলগঞ্জে মানসিক প্রতিবন্ধী মেয়ে অন্ত:সত্তার ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ

জয়নাল আবেদীন,কমলগঞ্জ প্রতিনিধি//মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের মাধবপুর ইউনিয়নে মদনমোহনপুর চা বাগানের এক চা শ্রমিকের মানসিক প্রতিবন্ধী যুবতী মেয়ের সাথে এক যুবকের অবৈধ সম্পর্ক অন্ত:সত্তা হয়েছে। এঘটনায় রবিবার (৩ মার্চ) নির্যাতিত মেয়ে বাদি হয়ে কমলগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ ডায়ের করে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, মদনমোহনপুর চা বাগানের চা শ্রমিক সুন্দর রবিদাসের মানসিক প্রতিবন্ধী যুবতী মেয়ে (২২)-এর সাথে একই চা বাগানের চা শ্রমিক শঙ্কর রবিদাসের ছেলে রাম কিশোন রবিদাস (৩০) প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। এ সুযোগে মেয়ে মা বাবা চা বাগানে কাজে যাওয়ার পর বাড়িতে একা পেয়ে রাম কিশোন রবিদাস তার সাথে অবৈধ দৈহিক সম্পর্ক গড়ে তোলে। যুবতী মেয়ে কয়েক মাসের গর্ভবর্তী হয়ে পড়ে।
ঘটনাটি জানাযানি হলে মেয়েকে বৈধভাবে স্ত্রী হিসেবে গ্রহন করে নিতে ছেলে ও তার পরিবারের লোকজনের কাছে কথা বলে যুবতী মেয়ের বাবা-মা। এতে রাজি না হওয়ায় চা বাগান পঞ্চায়েত সভাপতি ও সম্পাদকের নিকট বিচার দিয়েও ব্যর্থ হন। এর পর বিষয়টি মাধবপুর ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের মাধ্যমে সামাজিক বৈঠকের উদ্যোগ নিয়ে অভিযুক্ত ছেলে ও তার পরিবারের লোকজন সাড়া দেয়নি। তাই বাধ্য হয়ে নির্যাতিত মেয়ে বাদি হয়ে কমলগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।
চা শ্রমিক রাম সুন্দর রবিদাস বলেন, তার মেয়ে মানসিকভাবে প্রতিবন্ধী। তাকে ভালবেসে ও তাদের অনুপস্থিতিতে রাম কিশোন রবিদাস ঘরে একা পেয়ে প্রেমের ও বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে অবৈধভাবে দৈহিক মিলন ঘটায়। ফলে মেয়েটি গর্ভবর্তী হয়ে পড়ে। অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চেয়ে রাম কিশোন রবিদাসকে পাওয়া যায়নি। তবে তার ভাই রাজেশ রবিদাস বলেন, অভিযোগটি সঠিক নয়। তার ভাই এ ঘটনার সাতে জড়িত নয়। তাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।
তবে মাধবপুর ইউপি সদস্য ছাবিদ আলী বলেন, অভিযোগ সত্য ছেলেটি লম্পট প্রকৃতির। মাধবপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পুষ্প কুমার কানু বলেন, অভিযোগটি সত্য। তিনি তার পরিষদের মাধ্যমে সামাজিক বৈঠক করে সুন্দর সমাধানের উদ্যোগ নিয়েছিলেন। অভিযুক্ত ছেলে ও তার পরিবার ই্উনিয়ন পরিষদের এ উদ্যোগে সাড়া না দিয়ে উপস্থিত হয়নি। কমলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আরিফুর রহমান থানায় লিখিত অভিযোগের কথা স্বীকার করে বলেন, তদন্তক্রমে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।