কমলগঞ্জে বিদ্যালয় পাশ থেকে ড্রেজার মেশিনে বালু উত্তোলন ॥ শিক্ষার্থীদের পাঠদানে বিঘœ

কমলগঞ্জ প্রতিনিধি
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ পৌরসভা এলাকায় আলেপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে ধলাই নদী থেকে ড্রেজার মেশিনের বালু উত্তোলন। ড্রেজারের শব্দের কবলে পড়ে প্রায় দেড় শতাধিক কোমলমতি শিক্ষার্থীদের পাঠগ্রহন ও পাঠদানে বিঘœ ঘটছে বলে অভিযোগ শিক্ষা প্রতিষ্টানের।
বৃহস্পতিবার(২৮ ফেব্রুয়ারী) বিকাল ৩ টায় সরজমিন ধলাই নদীর পাশে আলেপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, বিদ্যালয় থেকে ৫০ গজ অদূরে ধলাই নদী থেকে ড্রেজার মেশিনের মাধ্যমে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। আর এ মেশিনের বিকট শব্দে বিদ্যালয়সহ আশপাশের এলাকা ভারী হয়ে উঠেছে। পাশাপাশি কুমড়াকাপন গ্রামেও অবাধে বোমা মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। শব্দদুষনের ফলে শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ায় বিঘœ ঘটছে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক প্রদীপ কুমারের সাথে আলাপকালে তিনি জানান, প্রায় দু’বছর থেকে কিছু প্রভাপশালী মহল বিদ্যালয়ের পাশে ধলাই নদী থেকে ড্রেজার (বোম্বা) মেশিনের মাধ্যমে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বালু উত্তোলন করছেন। এর ফলে বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের পাঠদান করাতে চরম বিগ্ন সৃষ্টি হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের মনোযোগ ক্ষুন্ন করছে প্রতিনিয়ত। তিনি আরও জানান, এ ব্যাপারে আমরা সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্তৃপক্ষসহ সাবেক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাহমুদুল হক এর কাছে অভিযোগ করা হয়েছে। কোন ফল পাওয়া যায়নি। বিদ্যালয়ের অভিভাবক সইদুন বেগম, মন্নান মিয়া জানান, ড্রেজার (বোম্বা) মেশিনের শব্দ দুষনের কারণে শিশুরা বিদ্যালয়ে যেতে চায়না।
কমলগঞ্জ বহুমুখী মডেল সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর অভিভাবক নুরুল ইসলাম জানান, মেশিনের শব্দ দুষনে শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া নষ্ট হচ্ছে। দিন নেই, রাত নেই দু’তিন বছর যাবৎ একটি প্রভাবশালী মহল এখান থেকে বালু উত্তোলন করছে। কোন বাধা নিষেধও মানছেনা। তবে কমলগঞ্জ পৌরসভার কাউন্সিলর রমুজ মিয়া শ্যালো মেশিন দিয়ে বিদ্যালয়ের পাশে ধলাই নদী থেকে বালু উত্তোলনের কথা স্বীকার করে বলেন, বিদ্যালয় ছুটির পর বালু তোলা হয়। এতে পাঠদানের কোন সমস্যা হওয়ার কথা নয়। এ ব্যাপারে কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশেকুল হক জানান, বিষয়টি আমাকে কেউ জানায়নি, আমরা সরজমিনে গিয়ে প্রয়োজনী ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।