0
(0)

আবদুল্লাহ্ আল নোমান//দই বা দধি সারা বিশ্বে জনপ্রিয় একটি খাবার। মানুষ ৪৫০০ বছর আগে থেকে দই বানানো ও খাওয়া শুরু করেছে তার প্রমাণ পাওয়া যায়। খ্রিস্টের জন্মের ৬০০০ বছর আগে মধ্যপ্রাচ্যের নিওলিথিক গোষ্ঠীর মানুষরা দই তৈরি করতে জানত এবং তাদের খাদ্য তালিকায় দই থাকত। ধারণা করা হয় ভারতীয় উপমহাদেশে দইয়ের প্রচলন পারস্য থেকে এসেছে।
দই যখন থেকে এবং যেখান থেকেই আসুক না কেন, তা বর্তমানে বাঙালির পছন্দের খাদ্য তালিকায় স্থান করে নিয়েছে। দই হলো পুষ্টির আঁধার! দই পাকস্থলিতে খাবারের পচন প্রতিরোধ করে। পেটের ভেতরের ঘা সারাতে দই খুবই উপকারী। শরীরের উত্তাপ নিয়ন্ত্রণেও এর ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিদিন দই খেলে জন্ডিস, হেপাটাইসিস ও ক্যান্সার প্রতিরোধ করা যায়। সম্প্রতি এক গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত দই খেলে হৃদরোগের ঝুঁকি অনেকটা কমে যায়।
”আমেরিকান জার্নাল অফ হাইপারেটেনে” এই সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যাদের উচ্চ রক্তচাপ আছে তাদের জন্য দই খুব উপকারী। গবেষকরা বলছেন, সপ্তাহে অন্তত দু’বারের বেশি সময় দই খেলে হৃদরোগ এবং স্ট্রোক প্রতিরোধ করা সম্ভব। গবেষণাপত্রে প্রকাশিত তথ্য থেকে আরো জানা যায়, হৃদরোগের বড় একটা কারণ হলো উচ্চ রক্তচাপ এবং হাইপার টেনশন। আর এটা রোধ করতে সাহায্য করে দই।

How useful was this post?

Click on a star to rate it!

Average rating 0 / 5. Vote count: 0

No votes so far! Be the first to rate this post.